রায়গঞ্জ, 16 জুলাই : আদিবাসী উন্নয়ন নিয়ে প্রচার চললেও সেই ছোঁয়া পৌঁছায়নি এক আদিবাসী পরিবারে । দুই কন্যা নিয়ে অনাহার, অর্ধাহারে চরম সংকটে দিন কাটছে 56 বছর বয়সী বিধবা আদিবাসী মহিলা বাহামনি হেমব্রমের । তার উপর তার দুই পায়ে গোদ ৷ স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানলেও সুরাহা করতে পারেনি । কেন, তার উত্তর নেই ! এলাকাবাসী চাইছে যদি কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এগিয়ে আসে বা সরকারি পরিষেবা পায় দুর্দশাগ্রস্ত আদিবাসী পরিবারটি ।
রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন সোহারই মোড়ে থাকেন বাহামনি হেমব্রম ৷ কয়েক বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন তিনি । এখন দুই মেয়ের মধ্যে বাসন্তী বেসরা সুভাষগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়ের এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৷ অপরজন ওই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ঝুমা বেসরা । একমাত্র রোজগেরে ছেলে গাড়িচালকের কাজ করলেও পরিবার ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে । দুঃস্থ বিধবা বাহামনি হেমব্রমের আয় বলতে কিছু নেই । রেশনের চাল ফুরিয়ে গেলে অনাহারে কাটাতে হয় সবাইকে । পড়াশোনার খরচ চালানো তো দূর অস্ত । এদিকে বাহামনি হেমব্রমের দু'পায়ের গোদ বেড়ে চলেছে, চিকিৎসা করানোর অবস্থাও নেই । তাঁর অসুস্থতা প্রসঙ্গে তিনি বললেন, "প্রায় 20 বছর ধরে এই রোগে ভুগছি । এখানকার চিকিৎসকেরা বলেছেন কলকাতা থেকে অপারেশন করে আসতে ।" সেই সামর্থ্য নেই । হতাশ বৃদ্ধা বললেন, "একমাত্র রোজগেরে ছেলে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে । এখন সংসারে আয় কিছু নেই । কীভাবে দুবেলা পেটের ভাত জোগাব আর কী ভাবেই বা চিকিৎসা করাব, মেয়ে দুটোর পড়াশুনা চালাব ?" রাজ্য সরকারের বার্ধক্য ভাতাও জোটেনি, জানালেন বৃদ্ধা ৷