বারাসত, 19 জুন : কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় 7 বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা পেল যুবক । যুবকের নাম চন্দন সরকার । গতকাল দুপুরে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় । আজ বারাসত জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (সেকেন্ড কোর্ট) দুলাল চন্দ্র কর POCSO আইনে তার সাজা ঘোষণা করে । সাজার পাশাপাশি চন্দনের 1 লাখ টাকা জরিমানাও করা হয় । জরিমানা অনাদায়ে আরও 1 বছরের অতিরিক্ত সাজার নির্দেশ দেন বিচারক ।
কিশোরী ধর্ষণে 7 বছরের কারাদণ্ড, খুশি নন সরকারি আইনজীবী - seven years of rigorous imprisonment
এই মামলার সাজা ঘোষণায় খুশি নন সরকারি আইনজীবী শান্তময় বসু । তিনি বলেন, "13 বছরের ওই কিশোরীকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে । এতে যাবজ্জীবন হওয়া উচিত ছিল অভিযুক্তের । "
তবে এই মামলার সাজা ঘোষণায় মোটেই খুশি নন সরকারি আইনজীবী শান্তময় বসু । তিনি বলেন, "13 বছরের ওই কিশোরীকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে । এতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়া উচিত ছিল অভিযুক্তের । এই রায় মানতে পারছি না । সাজা বেশি হলে ভালো হত ।" এই রায় নিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী ।
তিনি আরও জানান, 2015 সালের 10 নভেম্বর ধর্ষণের ঘটনা ঘটে । ওই দিন জগদ্দলের নবপল্লি এলাকায় পাড়ার কালিপুজোতে বাজি ফাটাচ্ছিল কিশোরী । সেই সময় প্রতিবেশী চন্দন সরকার তাকে নিজের ঘরে তুলে নিয়ে যায় । অভিযোগ, সেখানেই নৃশংসভাবে কিশোরীকে ধর্ষণ করে সে । এরপর নাবালিকার রক্তপাত হলে তার পরিবারের লোক বুঝতে পারে । তারপর সে তার পরিবারকে সবকিছু খুলে বলে । তার পরিবার জগদ্দল থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে । পরের দিনই চন্দনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । এরপর থেকে সে জেল হেপাজতেই ছিল ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এই মামলায় মোট 12 জন সাক্ষী দিয়েছেন । কিশোরীকে সাড়ে 4 লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।