বারাসাত, 19 ফেব্রুয়ারি : আবার দলের উপর চাপ তৈরির পথে হাঁটলেন বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী । শুক্রবার দত্তপুকুর থানার বামনগাছির ফুলতলা খেলার মাঠে তৃণমূলের এক জনসভায় এসে বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী বললেন, "প্রার্থী না করা হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব"।
যখন টলিউডের ঝাঁকে ঝাঁকে অভিনেতা-অভিনেত্রী বিজেপিতে যোগদান করছে, তখন অভিনেতা বিধায়কের এমন মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে । তবে তাঁর বিজেপিতে যোগের জল্পনায় জল ঢেলেছেন বিধায়ক নিজেই । তিনি বলেন,"শুরু থেকে শেষ অবধি, এমনকী আমৃত্যু তৃণমূলের সঙ্গেই থাকব । বিজেপিতে যাওয়ার কোনও সম্ভবনা নেই"। বরং দল ছাড়লে নিজের চেনা পরিসরে ফিরে যাবেন বলে জানান চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী ।
রাজনীতি ছাড়বেন চিরঞ্জিৎ ? শুনুন কী বললেন... আরও খবর :21-এর ভোটে লড়তে চান না চিরঞ্জিৎ
2011 সালে প্রথমবার বারাসত থেকে তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হয়েছিলেন চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী । 2016-র নির্বাচনের আগে ভোটে আর দাঁড়াবেন না বলে আওয়াজ তুলেছিলেন । পরে 180 ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে বলেছিলেন, দল চাইলে আবারও দাঁড়াব । সেবারও দলের টিকিটে বিধায়ক হন প্রখ্যাত অভিনেতা । কোরোনাকালে যখন তৃণমূল নেত্রী সহ দলের অন্য নেতাদের রাস্তায় বেরিয়ে কাজ করতে দেখা গিয়েছে, তখন তৃণমূল বিধায়ক নিজেকে ঘরবন্দী রেখেছিলেন । তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রেও বারাসতেও বিধায়ককে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ । যা নিয়ে ক্ষোভ দানা বেঁধেছিল দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের একাংশের মধ্যে । আনলক পর্বে বারাসতে দলীয় কর্মসূচিতে এসে চিরঞ্জিৎ বলেছিলেন, কোরোনায় ভয়েই বারাসতে আসেননি । এও বলেছিলেন যে এবার আর প্রার্থী হবেন না বারাসতে । তবে দলনেত্রী চাইলে তিনি যে ফের বারাসত কেন্দ্রে দাঁড়াতে প্রস্তুত তারও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন । প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি দলের একাংশের ক্ষোভের কারণেই এবার আর তাঁকে টিকিট দেওয়া হবে না বারাসত কেন্দ্রে ? আর তা আন্দাজ করেই চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী দলনেত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ?
শুক্রবার চিরঞ্জিৎ বলেন, "দল টিকিট না দিলে রাজনীতিই ছেড়ে দেব । মানুষের হয়ে কাজ করতে হলে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া দরকার । অন্যভাবে কাজ করাকে সমাজসেবা বলে"। তাহলে তিনি কি বিধায়ক হওয়ার জন্যই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন ? চিরঞ্জিৎ-এর উত্তর, "প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগে আমি বলেছিলাম, আমি রাজনীতির লোক নই । এখনও বলছি, রাজনীতির লোক নই আমি "।