গাইঘাটা, 7 মার্চ : টিকিট না পেয়ে দল ছাড়লেন তৃণমূলের দুই নেতা ৷ একজন গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ধ্যানেশ নারায়ণ গুহ । অপরজন বনগাঁ দক্ষিণের সাত নম্বর জেলাপরিষদ সদস্য সুভাষ রায় । এঁরা দুজনেই জোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ৷ এঁদের পরিবর্তে গাইঘাটায় লড়বেন নরোত্তম বিশ্বাস ৷ বনগাঁ দক্ষিণ থেকে দাঁড়াচ্ছেন আলোরানি সরকার ৷
শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়েছে ৷ তারপর থেকেই দলের অন্দরে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে ৷ টিকিট না পেয়ে প্রকাশ্যেই কেঁদে ফেলেন সোনালি গুহ সহ আরও অনেকে ৷ ক্ষোভ উগরে দেন দলের বিরূদ্ধেও ৷ এদিনও তার ব্যতিক্রম ঘটল না ৷ ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটল গাইঘাটা ও বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থীদের ঘিরে । এই দুই কেন্দ্রের প্রার্থীদের মেনে নিতে না পেরে সাংবাদিক সম্মেলন করে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন ধ্যানেশ নারায়ণ গুহ ও সুভাষ রায় ৷ অন্যদিকে সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন হঠাৎই ফুল-মিষ্টি হাতে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন গাইঘাটার প্রার্থী নরোত্তম বিশ্বাস ৷ কিন্তু তাঁকে দেখে অত্যন্ত বিরক্ত হন ধ্যানেশ নারায়ণ গুহ ৷ চলে যেতে বলা হয় তাঁকে ৷ কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হয় নরোত্তমকে ৷ ফিরতি পথে তিনি বলেন," উনি (ধ্যানেশ নারায়ণ গুহ) আমার দাদা । তাই ওনার আশীর্বাদ নিতে এসেছিলাম ৷ উনি বিকালে দেখা করবেন বলেছেন ৷ মতুয়াদের উন্নয়ন যদি কেউ করে থাকে, তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আর অন্যরা কেবল রাজনীতি করে গিয়েছে ৷ "
সাংবাদিক সম্মেলন করে নরোত্তম বিশ্বাসের বিরূদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ধ্যানেশ নারায়ণ গুহ ৷ বলেন," যাঁকে গাইঘাটার প্রার্থী করা হয়েছে তাঁর বিরূদ্ধে বিপুল পরিমাণে সোনা পাচারের অভিযোগ রয়েছে ৷ " এমনকী তিনি কীভাবে ভোটে লড়ার টিকিট পেলেন সেবিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি ৷ পাশাপাশি দলের বিরূদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন," 2016 সালেও আমাকে টিকিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু তখনও করা হয়নি ৷ এবারেও একইরকমভাবে 24 ঘণ্টা আগে আমার বদলে প্রার্থী করা হল অন্য একজনকে ৷ " ঠাকুরবাড়ি পরিবার ভাঙার জন্য তিনি সরাসরি দায়ি করেছেন তাঁর প্রাক্তন দলকেই ৷ দল ছাড়ার পর তিনি মতুয়াদের পাশে থাকার ও মতুয়াদের একজোট করারও অঙ্গীকার নিয়েছেন ৷