বিশ্বভারতীর পাঁচিল ঐতিহ্য বিরোধী, মন্তব্য ব্রাত্যর

বিশ্বভারতীতে প্রাচীর দেওয়া নিয়ে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করলেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বিশ্বভারতীতে প্রাচীর দেওয়াকে রবীন্দ্র-ঐতিহ্য় বিরোধী বলেন ৷

বারাসত,25 অগাস্ট : বিশ্বভারতীর পাঁচিল ঐতিহ্যবিরোধী। বিশ্বভারতীর নৈস্বর্গিক প্রকৃতি হল খোলামেলা পরিবেশ। সেখানে পাঁচিল দেওয়ার কথা আদালত বলেনি। মঙ্গলবার উত্তর 24 পরগনার বারাসতে প্রশাসনিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

এদিন বারাসতে জেলা প্রশাসনিক ভবনে পাঁচ জেলার রিভিউ মিটিং ছিল। সেখানে ব্রাত্য বসু-সহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তাপস রায়, পুর্ণেন্দু বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও সুজিত বসু ছিলেন। ছিলেন রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "উন্মুক্ত নৈস্বর্গিক প্রকৃতিই হল বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য। সেই পরম্পরা ভেঙে পাঁচিল দেওয়া মোটেও কাজের কথা নয়। যাঁরা পাঁচিল দিতে চাইছেন, তাঁরা না বুঝতে পারছেন শান্তিনিকেতন, না বুঝতে পারছেন রবীন্দ্রনাথ, না বুঝতে পারছেন দেবেন্দ্রনাথ। বিশ্বভারতীর পাঁচিল দেওয়া নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তি আছে। আশ্রমিকরাও পাঁচিলের বিরোধী।"

সম্প্রতি তথাগত রায় টুইট করেছেন, "সিঙ্গুরের পাঁচিল ভেঙে দেবীর আগমন। বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভেঙে দেবীর বিসর্জন।" সে ব্যপারে ব্রাত্য বলেন, "যাঁরা কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন, তাঁরা এমন মন্তব্য করতে পারেন। কোরোনা সংক্রমণে বর্তমানে উত্তর 24 পরগনা জেলা রাজ্যের মধ্যে সব চেয়ে বিপজ্জনক জায়গায় রয়েছে। সে ব্যাপারে ব্রাত্য বলেন, "আসলে টেস্ট বেশি হচ্ছে বলে রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। পাশাপাশি এটাও ঠিক, সুস্থ হওয়ার সংখ্যাও এখানে বেশি। 76 শতাংশ রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।" আজ বারাসতে বৈঠক হলেও উত্তর 24 পরগনা জেলা বৈঠকের বিষয়বস্ত ছিল না। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভুম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া নিয়ে এদিন বৈঠকে আলোচনা হয়।