দেগঙ্গা, 23 ডিসেম্বর:আইসিডিএস কেন্দ্রে দেরি করে আসায় হাজিরার খাতায় সই করতে দেননি শিক্ষিকা (Unpleasant incident happened at the deganga ICDS centre) ৷ তার জেরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা পারভিন সুলতানাকে গলা টিপে খুনের চেষ্টার অভিযোগ রাঁধুনির বিরুদ্ধে । ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গার দোহাড়িয়া গ্রামে । অভিযুক্ত রাঁধুনি ফিরদৌসি বেগমের উপর চড়াও হন গ্রামবাসীরা ৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
দেগঙ্গার দোহাড়িয়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চলছে সরকার অনুমোদিত এই আইসিডিএস কেন্দ্রটি । মূলত গ্রামের শিশুরাই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পঠনপাঠন করে । অভিযোগ, অবৈতনিক এই প্রাথমিক কেন্দ্রের শিক্ষিকা পারভিন সুলতানা নিয়ম মেনে আসলেও, রাঁধুনি ফিরদৌসি বেগম নিয়ম মেনে স্কুলে আসেন না । অধিকাংশ সময়ই দেরি করে আসার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে । এই নিয়ে ওই শিক্ষিকা তাঁকে সতর্ক করলেও, কর্ণপাত করেননি রাঁধুনি ফিরদৌসি বেগম । অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার তিনি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র দেরি করে আসেন ৷
এরপর হাজিরার খাতায় সই করতে গেলে তাঁকে বাধা দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষিকা পারভিন সুলতানা । তখনই দু’জনের বিরুদ্ধে মত পার্থক্য সৃষ্টি হয় । অভিযোগ, সেই সময় ওই শিক্ষিকার গলা টিপে ধরেন রাঁধুনি । শিক্ষিকাকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে । ঘটনার আকষ্মিকতায় পড়ুয়া ও উপস্থিত অভিভাবকরাও হকচকিয়ে যান ৷ তাঁরাই অভিযুক্ত রাঁধুনিকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আটকে রেখে রাঁধুনির উপর চড়াও হন ৷ অভিযোগ, উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত রাঁধুনিকে মারধরও করেন । খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে দেগঙ্গা থানার পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন ৷