বারাসত, 26 এপ্রিল: প্রয়োজনের তুলনায় হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম ছিল অন্তঃসত্ত্বার । ঠিক সময়ে রক্ত না দিলে জীবনহানির আশঙ্কাও ছিল । লকডাউনের কারণে কিছুতেই জোগাড় হচ্ছিল না বিরল A নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত । অবশেষে সেই গ্রুপের রক্ত দিয়ে ওই অন্তঃসত্ত্বার জীবন বাঁচালেন দুই যুবক । উত্তর 24 পরগনার জেলা সদর বারাসতের ঘটনা । তাঁদের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সবাই । প্রশংসায় পঞ্চমুখ যুবতির পরিবারও ।
যুবতির নাম দেবযানী সাহা (দে) । বয়স 34 । বাড়ি বারাসত পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বুড়িপুকুর রোড়ের ন'পাড়া এলাকায় । গতকাল সকালে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি । দেরি না করে বারাসতের 35 নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে । পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, দেবযানীর শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম রয়েছে । তাঁকে দ্রুত দুই ইউনিট রক্ত দেওয়া প্রয়োজন । না হলে জীবনহানির সম্ভাবনা রয়েছে । এরপরই বিরল A নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের খোঁজ শুরু করেন পরিবারের লোকরা । কিন্তু হন্যে হয়ে খুঁজলেও মেলেনি সেই গ্রুপের রক্ত । অনেকে রক্ত দেওয়ার জন্য এগিয়ে এলেও পরে লকডাউনের কারণে পিছু হটতে বাধ্য হন । কী করবেন ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলেন না পরিবারের সদস্যরা । এমন সময়ে ত্রাতার ভূমিকায় এগিয়ে আসেন বারাসতের DYFI নেতৃত্ব । পরিবারকে আশ্বস্ত করে জানানো হয়, পরিচিত দুই যুবক ওই গ্রুপের রক্ত দিতে রাজি । সেই মতো অরিজিৎ দাস ও কৌস্তভ দাস নামে বারাসত ও মধ্যমগ্রামের দুই যুবক এগিয়ে আসেন রক্ত দিতে । বারাসত হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে রক্ত দেন তাঁরা । গতরাতে দেবযানীকে দেওয়া হয়েছে সেই রক্ত ।