27 মে, বসিরহাট: বৃহস্পতিবার প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ইছামতির ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ পরিদর্শন করে কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্য চাইলেন বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় । দলের স্থানীয় নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বিধায়ক বেরিয়ে পড়েন ইছামতির ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ পরিদর্শন করতে । এদিন প্রথমে তিনি যান বসিরহাটের ইটিন্ডা গ্রামের ভেঙে যাওয়া বাঁধের দশা খতিয়ে দেখতে । এরপর পানিতর সহ বেশ কয়েকটি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধের অবস্থা খতিয়ে দেখেন ৷ নদীবাঁধ মেরামতের স্থায়ী সমাধানে কেন্দ্রের থেকে সাহায্য চান । সেই সঙ্গে সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার ।
ঘূর্ণিঝড় যশের সঙ্গে এবার দোসর ছিল পূর্ণিমার ভরা কোটালও । এর জেরে অস্থায়ী বাঁধগুলো ভাঙার আশঙ্কা আগেই করেছিলেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা । যশের দাপট এবং কোটালের প্রবল জলোচ্ছ্বাসের জেরে সেই আশঙ্কাই সত্যি হয় । বিদ্যাধরী, রায়মঙ্গল, ইছামতি, বেতনী, কালিন্দী, ছোট কলাগাছি প্রভৃতি নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে একের পর এক গ্রাম । রেহাই পায়নি দোকানপাট, বাজার, সরকারি অফিস এমনকি আদালতও । সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সন্দেশখালি ১ ও ২, হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁ এবং বসিরহাট ২ নম্বর ব্লক। বাড়িঘর হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ । ক্ষতি হয়েছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি , মাছের ভেড়ি সহ যাবতীয় জিনিসপত্র । সবকিছু হারিয়ে তাঁদের ঠাঁই হয়েছে বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে । তবে, আতঙ্ক কিছুতেই কাটছে না সহায় সম্বলহীনদের । জলস্তর বাড়লেও পরিস্থিতি এরপর কি দাঁড়াবে তা ভেবেই শঙ্কিত গ্রামের বাসিন্দারা ।