দেগঙ্গা, 5 ডিসেম্বর: বসিরহাটের পর দেগঙ্গা ৷ ফের আক্রান্ত পুলিশ । বসিরহাটে পুলিশের গুলিবিদ্ধ হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতে এ বার গাড়ি চালকের হাতে আক্রান্ত হতে হল দেগঙ্গা থানার এক ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবলকে (Traffic Constable Beaten)। দ্রুত গতির চার চাকার গাড়ি আটকাতে গিয়েই ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল আলমগীর ফকির আক্রান্ত হন বলে জানা গিয়েছে । এই ঘটনা ঘিরে সোমবার রীতিমতো সরগরম হয়ে ওঠে উত্তর 24 পরগনার টাকি রোডের বেড়াচাঁপা চৌমাথা মোড় (North 24 Parganas News)।
গাড়ি চালকের মারধরে আহত ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবলকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে । সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি । ঘটনার পরই অভিযুক্ত গাড়ির চালক মহম্মদ আবদুল হাইকে আটক করে দেগঙ্গা থানায় নিয়ে যায় পুলিশ । পরে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে । পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাঁধা, পুলিশের উপর আক্রমণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে । ঘটনার তদন্তে নেমেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ (Driver arrested)।
বারাসত থেকে বসিরহাটগামী টাকি রোডের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হল দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা চৌমাথা মোড় । এই চৌমাথা মোড়ের উত্তর দিকে চলে গিয়েছে হাড়োয়া রোড । এর উলটো দিকে আবার রয়েছে হাবরা-পৃথীবা রোড । এমনিতেই টাকি রোড সম্প্রসারণের ফলে গাড়ির সংখ্যা এবং গতি দুটোই বেড়েছে আগের তুলনায় । ফলে চৌমাথার সংযোগস্থলে দুর্ঘটনা এড়াতে ও যানজট সামাল দিতে গুরুত্বপূর্ণ এই মোড়ে বাড়ানো হয়েছে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যাও ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে বসিরহাট থেকে টাকি রোড ধরে বারাসতের দিকে দ্রুত গতিতে আসছিল একটা প্রাইভেট গাড়ি । যানজটের মধ্যে বেপরোয়াভাবে গাড়িটিকে আসতে দেখে সেটি বেড়াচাঁপা চৌমাথার কাছে আটকানোর চেষ্টা করেন কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল আলমগীর ফকির । অভিযোগ, তাতেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন গাড়ির চালক মহম্মদ আবদুল হাই । তিনি গাড়িটি থামিয়ে ওই ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করে দেন । বচসাও বেঁধে যায় দু'পক্ষের মধ্যে ।