বারাসত, 13 জুলাই: 2018 সালের পঞ্চায়েতের ক্লাইমাক্স বহাল রইল 2023 সালের ভোটেও ৷ আসন সংখ্যা বাড়লেও তৃণমূলের সামনে কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গেল বিরোধীরা। এবারও বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ তৈরি হল উত্তর 24 পরগনায় ৷ 22টি পঞ্চায়েত সমিতি ও 66টি জেলা পরিষদের সবক’টি গেল তৃণমূলের দখলে ৷ প্রায় একই দশা গ্রাম পঞ্চায়েতেও ৷ আসন সংখ্যা বাড়লেও মাত্র 4টি গ্রাম পঞ্চায়েত গিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপির হাতে ৷ অন্যদিকে, তৃণমূল পেয়েছে 189টি গ্রাম পঞ্চায়েত ৷ বাম-কংগ্রেসের অবস্থা আরও খারাপ ৷
তবে, শাসকদলের এই অভাবনীয় ফলাফলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস ৷ তাদের দাবি ভোটের প্রকৃত ফলাফল ব্যালট বাক্সে প্রতিফলিত হয়নি ৷ অভিযোগ, বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত ব্যবস্থা গড়ে তোলার চিত্রনাট্য আগেই লেখা হয়ে গিয়েছিল ৷ আর ভোট লুঠের মাধ্যমে তা বাস্তবায়িত হয়েছে ৷ নির্বাচন কমিশন, রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের মিলিত যোগসাজশে ভোটে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধী শিবিরে ৷ কেবলমাত্র শাসকদলের একাধিপত্য বজায় রাখার জন্য এতকিছু করা হয়েছে ৷ তাই এই জয়ের কৃতিত্ব তৃণমূলের নয় বলে দাবি বিরোধীদের ৷
সিপিএম-এর উত্তর 24 পরগনার জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী বলেন, "এ বছর জেলা পরিষদে অন্তত 10টি আসনে টার্গেট করেছিলাম আমরা ৷ সেভাবে ভোটের প্রস্তুতিও সারা হয়েছিল ৷ মানুষের সাড়াও পেয়েছিলাম ৷ কিন্তু, সেই টার্গেট সফল হয়নি একমাত্র তৃণমূলের লাগামহীন সন্ত্রাসের কারণে ৷ গতবারের থেকে এবারে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির আসনও বাড়ত ৷ তৃণমূল লড়াই করে জেতেনি ৷ জিতেছে ষড়যন্ত্র এবং অশুভ আঁতাত করে ৷"
আরও পড়ুন:মালদা তৃণমূলের, মুছে গেল বাম; শক্তি বাড়ল কংগ্রেসের