বসিরহাট, 27 সেপ্টেম্বর: পাঁচদিনও কাটল না । অনাস্থা (No Confidence Motion) এনেও দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে শেষে সোমবার দুই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রত্যাহার করে নিলেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্যরা । যা ঘিরে শাসকের অন্তর্দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে ।
এ নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির । বিজেপির (BJP) দাবি, "সবই নাটক । নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোলের জেরেই অনাস্থা আনা হয়েছিল ভেবিয়া ও আমলানি দুই পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে । ভাগ বাটোয়ারার সমস্যা মিটে যাওয়াতেই অনাস্থা তুলে নেওয়া হয়েছে ৷" যদিও বিজেপির দাবিকে গুরুত্ব দিতে চায়নি তৃণমূল শিবির । উল্টে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির জেরে এই সমস্যা তৈরি হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে শাসকদলের তরফে ।
হাসনাবাদের ভেবিয়া এবং আমলানি এই দুই পঞ্চায়েতে একচ্ছত্র আধিপত্য তৃণমূলের । তা সত্ত্বেও গত 22 সেপ্টেম্বর এই দুই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন দলেরই অধিকাংশ পঞ্চায়েত সদস্য । অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়া হয় হাসনাবাদের বিডিওর কাছে । অনাস্থাকারী তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ ছিল, ওই দুই পঞ্চায়েত প্রধান নিজেদের খুশিমতো পঞ্চায়েত পরিচালনা করেন । কারও সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা করেন না । প্রতিবাদ করতে গেলেই দুর্ব্যবহার করেন পঞ্চায়েত প্রধান ৷ এছাড়া এলাকার অনুন্নয়ন নিয়েও বিস্তর অভিযোগ ছিল অনাস্থাকারী পঞ্চায়েত সদস্যদের ।
আরও পড়ুন:Sovan Chatterjee : উনি স্বার্থপর, বাবা হওয়ার যোগ্যতা নেই ; মন্তব্য শোভন-পুত্র ঋষির