মধ্যমগ্রাম, 14 ফেব্রুয়ারি:পঞ্চায়েত ভোটের আগে হুমকি-হুঁশিয়ারি থামার কোনও লক্ষণই নেই । গ্রামীণ এলাকার ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই যেন শাসক-বিরোধীদের হুঁশিয়ারিতে তেতে উঠছে রাজ্য রাজনীতি ! এবার কার্যত তারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ (Rathin Ghosh) এবং তৃণমূলের চিকিৎসক সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের (Kakoli Ghosh Dastidar) গলাতে । সিপিআইএমকে হুমকি দিতে গিয়ে একদিকে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ হুল ফোঁটানোর নিদান দিলেন । অন্যদিকে, পাড়ায় মিটিং, মিছিলের আগে সিপিআইএমকে নাকখত দিয়ে অন্যায় স্বীকার করার ফতোয়া জারি করে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের জাতীয় মুখপাত্র কাকলি ঘোষদস্তিদার । যা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে ।
সিপিআইএমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সোমবার বিকেলে মধ্যমগ্রামের কলুপাড়ায় এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয় তৃণমূলের কেমিয়া খামারপাড়া অঞ্চল কমিটির তরফে। সেখানেই হাজির হন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এবং তৃণমূলের চিকিৎসক সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার । মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন আগাগোড়াই সিপিআইএমের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী ও স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রথীন ঘোষ । তিনি বলেন,"সিপিএমের এখন নেতৃত্বের অভাব রয়েছে । তাই তাঁরা বহিরাগতদের নিয়ে এসে এলাকায় মিটিং, মিছিল করছে । ভাবছে, বিশাল কিছু করে ফেলেছে । আসলে এসব করে এলাকায় অশান্তি করার চেষ্টা করছে সিপিআইএম নেতৃত্ব । তার জন্য অবশ্য প্রস্তুত রয়েছে তৃণমূল । সেরকম হলে পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে । সিপিআইএম যেন না-ভাবে, তৃণমূল হাতে চুড়ি পড়ে বসে রয়েছে । ভুল করবে ! মূর্খের স্বর্গে বাস করছে সিপিআইএম ৷"
এরপরই হুঁশিয়ারির সুরে মন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, "আমাদের কর্মীদের আঘাত করা হলে পালটা প্রত্যাঘাত করার ক্ষমতা রাখে তৃণমূল দল । ইচ্ছা করলে আমরা পারি । কিন্তু,আমরা এমন একটা দল করি, যার নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি ক্ষমতায় আসার আগে স্লোগান দিয়েছিলেন, বদলা নয়, বদল চাই । তাই আমরা বদলের রাজনীতি করছি । তাই, যারা মাঝেমধ্যে এসে হুল ফোটাচ্ছেন । তাঁদের বলব, হুল ফোটাতে আসবেন না । পালটা হুল সহ্য করতে পারবেন না । সেটা মাথায় রেখে দলীয় কর্মকাণ্ড করুন । তাতে আমাদের আপত্তি নেই ৷"