নৈহাটি, 30 ডিসেম্বর: "দলের নেত্রী ও নির্বাচনী প্রতীক এক, তাই সাংবাদিকরা বৃথা ফুটো পাত্রে জল ঢেলে বৃথা চেষ্টা তৃষ্ণা মিটাবারে ৷" এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রত বক্সী ৷ শনিবার উত্তর 24 পরগনার নৈহাটি উৎসবের মঞ্চ থেকে তিনি তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের কথা প্রচারের জন্য সংবাদমাধ্যমের একাংশকে দায়ী করেন ৷ তিনি বলেন, "আপনাদের বলব, এভাবে তৃণমূলকে ভাঙা যাবে না ৷ কারণ তৃণমূল একটা পরিবার ৷"
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা অর্জুন সিং, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং অন্য তৃণমূল নেতারা ৷ সূত্রের খবর, তৃণমূলের দুই নেতা অর্জুন সিং ও সোমনাথ শ্যামের মধ্যের দ্বন্দ্ব মেটাতে দু'জনকে মুখোমুখি বসিয়ে এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছিল দলের তরফে ৷ তাই শনিবার উত্তর 24 পরগনার নৈহাটিতে গিয়েছিলেন প্রবীণ নেতা সুব্রত বক্সী ৷ সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের নিজস্ব কার্যালয়ে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং উপস্থিত ছিলেন ৷ কিন্তু দেখা যায়নি জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে ৷ তবে সুব্রত বক্সী এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি ৷
এদিকে রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ মনে করছেন, ওই বৈঠকে একপক্ষের হাজির এবং অন্যপক্ষের গরহাজির থাকার ফলে সমস্যা জিইয়ে রইল ৷ যদিও, এমন কোনও বৈঠকের কথা মানতে চাননি নৈহাটির বিধায়ক তথা রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। উলটে, অর্জুন-শ্যামের দ্বন্দ্ব নিয়ে একশ্রেণির সংবাদমাধ্যম অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর ৷ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলতে চাননি তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সী কিংবা অর্জুন সিং কেউই ৷ আবার এমন বৈঠকের কথা তাঁর জানা নেই বলে ফোনে জানিয়েছেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম ৷ তিনি বলেন, "আমাকে বৈঠকের কথা জানানো হয়নি ৷ জানালে আমি অনুগত সৈনিক হিসেবে অবশ্যই যোগদান করতাম ৷"