দেগঙ্গা, 2 জুলাই: ফতোয়া জারি করে দুই বিজেপি কর্মীর 'ট্রেকার'-অনির্দিষ্টকাল স্ট্যান্ডে ঢোকা নিষিদ্ধ করার অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে ৷ উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গা ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের বারাসত সংসদীয় জেলার সভাপতি তথা স্থানীয় পৌরসভার উপ-পৌরপ্রধান তাপস দাশগুপ্তর ৷ জানা গিয়েছে, দু’জনের মধ্যে একজন পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থীও হয়েছেন ৷ তাপস দাশগুপ্ত দুই বিজেপি কর্মীকে তৃণমূলের কার্যালয়ে ডেকে সকলের সামনে হুমকি দিয়ে ফতোয়া জারি করেন বলে অভিযোগ ৷ যদিও, তিনি এমন কাজ করেননি বলে দাবি করেছেন ওই তৃণমূল নেতা ৷ তবে তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠায়, এবার তেমনটাই করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই তৃণমূূল নেতা ৷
সূত্রের খবর, ওই দুই বিজেপি কর্মীর মধ্যে কুমারেশ সাধুখাঁ এবারের পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গ্রাম সংসদের আসন থেকে ৷ অন্যজন হারান ঘোষ অবশ্য নিজে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও, তাঁর স্ত্রী লড়ছেন অন্য একটি গ্রাম সংসদের আসন থেকে ৷ আর সেই কারণেই নাকি, 'নিষিদ্ধ'-করে দেওয়া হয়েছে দুই বিজেপি কর্মীর ট্রেকার ৷ এদিকে, শাসকের এই তুঘলকি শাসন-এর জেরে অসহায় অবস্থা দুই বিজেপি কর্মীর ৷ পেশা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কার্যত এখন পরিবার নিয়ে অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের ৷
ইতিমধ্যে প্রশাসনের সর্বস্তরে অভিযোগও জানিয়েছেন দু'জনেই ৷ কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ ৷ তাই,সুবিচার পেতে বিজেপির জেলা নেতৃত্বের মাধ্যমে রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন তাঁরা ৷ যদিও, যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে পালটা গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করেছেন শাসক শিবির।
জানা গিয়েছে,বেড়াচাঁপা-বারাসত রুটে ট্রেকার চালিয়ে সংসার নির্বাহ করেন দুই বিজেপি কর্মী কুমারেশ সাধুখাঁ এবং হারান ঘোষ ৷ কুমারেশের বাড়ি দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা দু'নম্বর পঞ্চায়েতের সাধুখাঁ পাড়ায় ৷ অন্যদিকে, হারানের বাড়ি দেগঙ্গার নূরনগর পঞ্চায়েতের ফাজিলপুর ঘোষ পাড়ায় ৷ দু'জনেই বিজেপির সক্রিয় কর্মী ৷ দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁরা ৷ সেই সুবাদে কুমারেশকে টিকিটও দিয়েছে বিজেপি ৷ তিনি দেগঙ্গার 155 নম্বর বুথ থেকে গ্রাম সংসদ অর্থাৎ, পঞ্চায়েত আসনে লড়াই করছেন বিজেপির প্রতীকে ৷ তবে, হারান ভোটে প্রার্থী না হলেও তাঁর স্ত্রী সুজাতা ঘোষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গ্রাম সংসদের 93 নম্বর আসন থেকে ৷
অভিযোগ, প্রথম থেকেই এই দুই বিজেপি কর্মীর ওপর চাপ তৈরি করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানোর চেষ্টা চালানো হয়েছিল তৃণমূলের তরফে ৷ কিন্তু, চাপের কাছে নতিস্বীকার করেননি তাঁরা ৷ এর পরেই জব্দ করতে শাসকদল এই পন্থা বেছে নেয় বলে অভিযোগ করেছেন দুই বিজেপি কর্মী ৷
আরও পড়ুন:প্রচার ঘিরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ রানিগঞ্জে, পথে বসে প্রতিবাদ অগ্নিমিত্রার