দত্তপুকুর, 19 ফেব্রুয়ারি: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট ! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে এবার কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী ও জেলার দাপুটে তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। উত্তর 24 পরগনার দত্তপুকুরের খিলকাপুরে দলের এক সংখ্যালঘু সেলের সম্মেলন আয়োজিত হয় রবিবার। সেখানেই বক্তা হিসেবে হাজির ছিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি দেগঙ্গা এবং দত্তপুকুরের কয়েকজন নেতার নাম উল্লেখ করে বলেন, "এরা মাঝেমধ্যে পদে থেকেও দলের মধ্যে ভুল কাজ করছে । বদমায়েশি করছে । ওদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, এসব চলবে না দলের ভিতরে। বকাও দিয়েছি অনেক সময় । সবাইকে একসঙ্গে চলতে হবে। একটাই প্ল্যাটফর্ম থাকবে। দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা-নেত্রীদের মানতে হবে। এটা মাথায় রেখে চলতে হবে ৷"
এদিন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে যখন মঞ্চ থেকে দলের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিচ্ছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । তখন সেই মঞ্চে হাজির রাজ্যের আরেক মন্ত্রী রথীন ঘোষও । ছিলেন দলের জেলা সভাপতি তথা তৃণমূলের চিকিৎসক সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার থেকে শাসকদলের প্রথম সারির নেতারা। স্বভাবতই প্রকাশ্যে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কড়া বার্তা দিতেই মঞ্চে উপস্থিত নেতা-নেত্রীরা মুখ চাওয়াচায়ি শুরু করে দেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, জেলার যে দু'টি নির্দিষ্ট এলাকার নেতাদের নাম উল্লেখ করে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী, সেই দেগঙ্গা এবং দত্তপুকুরেরই শাসকদলের কোন্দল সবথেকে বেশি ।
মাঝেমধ্যেই এই দু'টি এলাকা থেকে দলীয় কোন্দলের খবর আসে সামনে। কখনও এলাকা দখল ! আবার কখনও ক্ষমতার কর্তৃত্ব। এই নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বারবার তপ্ত হয়েছে এই দুই এলাকা। সেকথা মাথায় রেখেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে জ্যোতিপ্রিয়র এই কড়া দাওয়াই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল । যদিও পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে বিষয়টি এড়িয়ে দলীয় কোন্দলের কথা পুরোপুরি অস্বীকার করে যান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বরং এই ইস্যুতে বিজেপিকে নিশানা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী (Factionalism issue) ।