অর্জুনকে 'সেন্সর' করল রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব ব্যারাকপুর, 26 ডিসেম্বর: তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় অর্জুন সিং ও সোমনাথ শ্যামের অভিযোগ পালটা অভিযোগ ঘিরে অস্বস্তিতে শাসকদল। অস্বস্তি এড়াতে এবার অর্জুনকে 'সেন্সর' করল রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী তাঁকে চুপ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। কিন্তু, তারপরও মঙ্গলবার মজদুর ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন থেকে অর্জুন সিং একের পর এক বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছেন তাঁর চির প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে।
ফলে, সাংসদ-বিধায়কের এই দ্বন্দ্ব আদৌ মিটবে কি না, তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে রাজ্য সভাপতির নির্দেশের পরও যেভাবে অর্জুন, শ্যামের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তার জল কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।
গত কয়েকদিন ধরেই বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম এবং সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাকযুদ্ধে কার্যত 'কুরুক্ষেত্র' হয়ে রয়েছে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। ব্যারাকপুরের সাংসদকে নাম না-করে দিন দু'য়েক আগেই 'ফাইল'-হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন জগদ্দলের বিধায়ক। সোমনাথ শ্যাম বলেছিলেন, "আমার কাছে একটি হলুদ রঙের ফাইল আছে। সেই ফাইল আমি খুব শীঘ্রই খুলব। সেদিন পালানোর জায়গা পাবেন না।" এই মন্তব্য করে আদতে তিনি তাঁর চির প্রতিদ্বন্দ্বী সাংসদ অর্জুন সিংয়ের উদ্দেশ্যে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
পালটা অর্জুন সিং-ও নাম না করে বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে 'শিখণ্ডী' বলে আক্রমণ করেছিলেন। তিনিও দলের শ্রমিক সংগঠনের প্রকাশ্য মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, "দু'বছর দলে ছিলাম না। ব্যারাকপুর কেন্দ্রের দাবিদার ছিলাম। বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে জয়লাভের পর নেত্রীর ডাকে ফের দলে ফিরে এসেছি।" অন্যদিকে, রাজ্য সভাপতির নির্দেশকে 'সেন্সর' হিসেবে দেখতে নারাজ ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর মতে,"এর মধ্যে সেন্সরের কোনও ব্যাপার নেই। আমি দলের একনিষ্ঠ কর্মী। দল যা নির্দেশ দেবে তা মাথা পেতে নেব ।"
আরও পড়ুন:
- 'কত বড় পেট'! দুর্নীতি ইস্যুতে অর্জুনকে নিশানা ; পালটা 'শিখণ্ডী' কটাক্ষ সোমনাথকে
- সাংসদ-বিধায়কের দ্বৈরথে নতুন মাত্রা! সোমনাথ শ্যাম ঢুকতেই দলীয় বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন অর্জুন সিং
- ভিকি যাদব খুনে ধৃত পঙ্কজ সিংয়ের সঙ্গে বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের ছবি ভাইরাল, আক্রমণ সাংসদ অর্জুনের