দেগঙ্গা, 22 সেপ্টেম্বর : এলাকা দখলকে ঘিরে তৃণমূল বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির অনুগামীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গা এলাকা । ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের মোট 8 জন । খবর পেয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থানে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ।সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের । ঘটনায় উভয়পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে । অভিযোগ দায়ের করেছেন দেগঙ্গা থানাতেও । দু'পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে ।
জানা গিয়েছে, দেগঙ্গার তৃণমূল বিধায়ক রহিমা মন্ডল ও ব্লক সভাপতি মফিদুল হক সাহাজি ওরফে মিন্টুর মধ্যে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের । মফিদুল দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও । মূলত এলাকার কর্তৃত্ব ও দখলদারি কার হাতে থাকবে তা নিয়েই বিবাদ বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির অনুগামীদের মধ্যে । 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও দু'পক্ষ বিবাদে জড়িয়েছিল ।পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়েও প্রকাশ্যে এসেছিল দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব । সেই সময় বিধায়ক রহিমা মন্ডলের গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল ব্লক সভাপতির অনুগামীদের বিরুদ্ধে । তা নিয়ে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব দু'পক্ষকে আলোচনায় বসিয়ে সতর্কও করেছিলেন । কিন্তু, তারপরও বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে লাগাম টানা এতটুকু সম্ভব হয়নি । আর তাই গোষ্ঠী সংঘর্ষে বারবার প্রকাশ্যে এসেছে । এসবের মধ্যে এদিন সকালে দেগঙ্গার আমুলিয়া পঞ্চায়েতের নিরামিষা বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে আলোচনা করছিলেন ব্লক সভাপতি মফিদুল হক সাহাজির কয়েকজন অনুগামী । অভিযোগ, সেই সময় বিধায়ক ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের কয়েকজন দাঁ, কুড়োল, বাঁশের লাঠি নিয়ে হামলা চালায় তাঁদের উপর ব্যাপক মারধর করা হয় ব্লক সভাপতির অনুগামীদের । পাল্টা ব্লক সভাপতির অনুগামীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে সংঘর্ষ বেঁধে যায় দু'পক্ষের মধ্যে । সংঘর্ষে মাথা ফেটে যায় ব্লক সভাপতির পাঁচ অনুগামীর । জখম হয়েছেন বিধায়কের তিন অনুগামীও । প্রকাশ্য বাজারের মধ্যে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আতঙ্ক ছড়ায় ব্যাবসায়ীদের মধ্যে । পরে দেগঙ্গা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থানে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । দু'পক্ষই অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ এনেছেন পরস্পরের বিরুদ্ধে ।