বারাসত, 10 জুন : ভোট পরবর্তী হিংসা থামার বিরাম নেই উত্তর 24 পরগনা জেলায় । মধ্যরাতে এক আরএসএস (RSS) কর্মীর বাড়িতে হামলা ও বোমাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে । ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে জেলার সদর শহর বারাসতে । অভিযোগ, একাধিকবার হামলার পাশাপাশি আরএসএস কর্মী শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এবং তাঁর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে । ফলে রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটছে পরিবারের লোকেদের । ঘটনার পরই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে সন্ত্রস্ত ওই আরএসএস কর্মীর পরিবার । অভিযোগ দায়ের হয়েছে বারাসত থানায় । তদন্ত শুরু হলেও এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা । যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূলের ।
এক মাসেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে । কিন্তু তারপরও যেন অশান্তি থামার কোনও লক্ষ্মণ নেই উত্তর 24 পরগনা জেলায় । কোথাও বিরোধী কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ । আবার কোথাও বিরোধী দলের কর্মীদের বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির শাসকদলের বিরুদ্ধে । যদিও তৃণমূল কংগ্রেস সেই অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছে । ইতিমধ্যে শাসকদলের সন্ত্রাস এবং ঘরছাড়া কর্মীদের ঘরে ফেরানোর দাবিতে জেলার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির । তা সত্ত্বেও বিজেপি ও তার সহযোগী শাখা সংগঠনের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে তৃণমূল সন্ত্রাস চলছে বলে অভিযোগ । তা আবারও স্পষ্ট হল ওই আরএসএস কর্মীর বাড়িতে হামলা থেকেই ।
বারাসত পৌরসভার 34 নম্বর ওয়ার্ডের ভাঙা পাঁচিল এলাকায় বাড়ি আরএসএস কর্মী শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের । বুধবার রাতে সেখানেই লাঠিসোঁটা নিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে । হামলার সময় এলাকায় বোমাবাজি করা হয় বলেও অভিযোগ । সেই ছবি ধরা পড়েছে আরএসএস কর্মীর বাড়ির সিসিটিভিতে । হামলাকারীদের বেশ কিছুক্ষণ ধরে দাপিয়ে বেড়ানোর দৃশ্যও স্পষ্ট ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে । হামলা ও বোমাবাজির পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন আরএসএস কর্মীর পরিবার । ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায় ।
এদিকে ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভীত-সন্ত্রস্ত আরএসএস পরিবার । থানার সামনে দাঁড়িয়ে শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, "2 মে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই তৃণমূলের অত্যাচার শুরু হয়েছে । দিনদিন সেই উৎপাত বেড়েই চলেছে । হামলা, ভাঙচুর, বোমাবাজি কিছুই বাদ যাচ্ছে না । শুধুমাত্র আরএসএস করার কারণেই এইভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে । পুলিশের কাছে আবেদন, এর একটা বিহিত হওয়া দরকার । দীর্ঘদিন এভাবে চলতে পারে না ৷"