বিধাননগর, 25 সেপ্টেম্বর: আন্তঃদেশীয় কিডন্যাপিং চক্রের পর্দা ফাঁস করল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট (Kidnapping Racket Busted) । কলকাতা বিমানবন্দর থেকে 18 জন যুবককে উদ্ধার করল বিধাননগর কমিশনারেটের এনএসসিবিআই থানার পুলিশ । গত 16 সেপ্টেম্বর হরিয়ানার বাসিন্দা নরেশ কুমার এনএসসিবিআই থানায় একটি রিপোর্ট করেন ৷ তিনি জানান, তাঁর ছেলে রাহুল কুমার 28 অগস্ট থেকে নিখোঁজ ।
প্রসঙ্গত, দিল্লি বিমানবন্দর থেকে পানিপথ হয়ে রাহুল কলকাতায় এসেছিলেন ৷ তারপর তাঁর আর বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ নেই ৷ একটি এজেন্সি মারফত রাহুল আমেরিকা যাবেন বলে কলকাতায় আসেন ৷ সেই জন্য নরেশ কুমারের কাছে এজেন্সির তরফে 49 লক্ষ টাকা দাবি করা হয় ৷ তার মধ্যে 40 লক্ষ টাকা দেন নরেশ ৷ কিন্তু কলকাতা আসার পর রাহুলের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷ এরপরই নরেশ এসে কলকাতায় থানায় অভিযোগ করেন ৷ জানান, তাঁর ছেলে কলকাতায় আছে । সেই অনুযায়ী পুলিশ তাঁকে সঙ্গে নিয়ে রাহুলকে খোঁজা শুরু করে ৷ কিন্তু নরেশ কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি ৷ ফলে যেহেতু পানিপথ থেকে টাকাটা দেওয়া হয়েছে তাই তিনি ওখানে গিয়ে অভিযোগ করবেন জানান ৷
এরপর নরেশ পানিপথে চলে যান ৷ কিন্তু বিধাননগর কমিশনারেট পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যায় ৷ তারা গোটা ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের জন্য নরেশ কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ৷ পুলিশ জানতে পারে তিনি পানিপথে গিয়ে কোনও অভিযোগ করেননি ৷ তাই পুলিশ নরেশকে কলকাতায় ইমেল মারফত অভিযোগ করতে বলেন ৷ যাতে তারা তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন ৷ এরপরে বিধাননগর এনএসসিবিআই থানার পুলিশের কাছে ইমেল মারফত অভিযোগ করেন তিনি । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ দমদম ও এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে সুরেশ সিনহা, রাকেশপ্রসাদ সিনহা, ধীরাজ দাসকে গ্রেফতার করে (Three arrested by Bidhannagar police) । এরপরেই আজ ভোররাতে পুলিশ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে 18 জনকে উদ্ধার করে ।