বারাসত, 16 নভেম্বর : প্রকৃতির নিয়মে কোনও কিছুই চিরস্থায়ী নয় ৷ তাই করোনা মহামারির সঙ্গে লড়াই করেই এগিয়ে চলেছে মানুষ ৷ লকডাউনে অভ্যস্ত মানুষ ধীরে ধীরে ফিরছেন স্বাভাবিক কাজকর্মে ৷ দোকান-পাট, বাজার, শপিং মলের পর মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে খুলল স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ৷ তবে কোভিড পরবর্তী স্কুলের দৃশ্যটা একটু হলেও অন্যরকম ৷ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের হাতে চক-ডাস্টারের পরিবর্তে থার্মাল গান ৷ ছাত্রদের সুরক্ষার কথা ভেবে অশিক্ষক কর্মীদের পাশাপাশি বারাসত মহাত্মা গান্ধি মেমোরিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নিজেই হাতে তুলে নিয়েছেন স্যানিটাইজার ৷
ক্লাসের নিদির্ষ্ট সময় পরিবর্তন করে শুরু হয়েছে স্কুল ৷ নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু হল ৷ জোর দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের সুরক্ষার দিকেও। ক্লাসরুমে প্রবেশের আগে থার্মাল গান দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা পাশাপাশি হাতে স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক ৷ শ্রেণিকক্ষের ভিতরেও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ৷
বারাসত মহাত্মা গান্ধি মেমোরিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শেখ আলি আহসান বলেন, "শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা মেনেই আমরা পঠনপাঠন শুরু করেছি। ক্লাসের নির্দিষ্ট সময়ে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে ৷ ঠিক হয়েছে নবম ও একাদশ শ্রেণির ক্লাস সকাল দশটায় শুরু হবে ৷ এর এক ঘন্টা বাদে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু করা হবে ৷ তবে, পড়ুয়াদের স্কুলে প্রবেশ করতে হবে সকাল সাড়ে ন'টার মধ্যে ৷ শ্রেণিকক্ষের ভিতরেও আমরা 2:1 পদ্ধতিতে পড়ুয়াদের বসানোর ব্যবস্থা করেছি। অর্থাৎ প্রথম বেঞ্চের দুই কোণায় দু'জন পড়ুয়া বসলেও পরের বেঞ্চের মাঝখানে কেবলমাত্র একজন পড়ুয়াই বসানো হচ্ছে ৷ এতে বজায় থাকবে শারীরিক দূরত্বও। পড়ুয়াদের সুরক্ষায় কোনওরকম ঢিলেমি দিতে রাজি নয় আমরা।"
প্রধান শিক্ষকের হাতে চক-ডাস্টারের পরিবর্তে থার্মাল গান আরও পড়ুন : স্কুল খোলায় খুশির হাওয়া রায়গঞ্জে, উদ্বেগ কাটছে না অভিভাবকদের
আর অনলাইন ক্লাস নয় ৷ স্কুলে এসে পড়াশোনা করতে পেরে খুশি ছাত্ররা ৷ বারাসত মহাত্মা গান্ধি মেমোরিয়াল হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া অরিজিৎ রায় বলেন, "খুব ভাল লাগছে দীর্ঘদিন বাদে স্কুলে আসতে পেরে ৷ এতদিন অনলাইনে ক্লাস হলেও তা যথেষ্ট ছিল না পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে ৷ ফলে পড়াশোনায় কিছুটা হলেও ঘাটতি তৈরি হয়েছিল ৷ অফলাইনে ক্লাস শুরু হওয়ায় আশা করছি সেই ঘাটতি পূরণ হবে ৷"