মধ্যমগ্রাম, 15 জুলাই : আদালতে উচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলা চলছে । তারই মধ্যে করোনা পরিস্থিতিতে ভাড়াটিয়াকে মারধর করে বাড়িছাড়া করার অভিযোগ উঠল মালিকের বিরুদ্ধে । অভিযোগ ঘরের জিনিসপত্র লুঠপাট করেছেন বাড়ির মালিক ৷ মধ্যমগ্রাম পৌরসভার 7নং ওয়ার্ডের শ্রীনগর এলাকার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর তথা কো-অর্ডিনেটর পঙ্কজকান্তি চন্দ্রের ৷ বাড়ির মালিক এবং তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত ভাড়াটিয়া । যদিও ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন বিদায়ী কাউন্সিলর অভিযুক্ত পঙ্কজকান্তি চন্দ্র ।
মধ্যমগ্রাম পৌরসভার 7নং ওয়ার্ডের শ্রীনগর এলাকার রেখা বিশ্বাসের বাড়িতে দীর্ঘ প্রায় সাত বছর ধরে পরিবার নিয়ে ভাড়া রয়েছেন পেশায় রঙ মিস্ত্রি রাজু মুখোপাধ্যায় । অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই ভাড়াটে ওই পরিবারকে উচ্ছেদ করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বাড়ির মালিক । বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায় । এখনও আদালতে মামলাটি বিচারাধীন । এসবের মধ্যেই বাড়ির মালিকের পক্ষ নিয়ে ওই ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর পঙ্কজকান্তি চন্দ্রের বিরুদ্ধে ।
অভিযোগ মুখের কথায় কোনও কাজ না হওয়ায়, লোক পাঠিয়ে রাজু মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর পরিবারকে মারধর করা হয় । পরে ঘরের যাবতীয় জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মধ্যমগ্রাম পৌরসভার ওই বিদায়ী কাউন্সিলের বিরুদ্ধে । রেহাই পায়নি ভাড়াটিয়ার নাবালিকা মেয়েও । বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় আপাতত পরিবার নিয়ে রাস্তাতেই দিন কাটছেন তিনি । গোটা ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়েছে এলাকায় ৷
ঘটনার পর মধ্যমগ্রাম থানায় তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর এবং বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত ভাড়াটিয়া রাজু মুখোপাধ্যায় । থানার সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘উচ্ছেদ নিয়ে বাড়িওয়ালার সঙ্গে আদালতে মামলা চলছে আমার । তারই মধ্যে পার্টি অফিসে ডেকে তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর পঙ্কজকান্তি চন্দ্র চাপ দেয় আমাকে । তাতে রাজি না হওয়ায় দলবল পাঠিয়ে মারধর করা হয় আমাকে । ঘরের জিনিসপত্র সব লুঠপাট করে নিয়ে যায় । পুলিশ গেলেও কোনও কিছু করেনি ৷’’