টাকি, 5 অক্টোবর: চিরাচরিত প্রথা মেনে আজও শতাব্দী প্রাচীন টাকি রাজবাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জন হয়ে আসছে । যার ব্যতিক্রম ঘটেনি এবারও । দশমীর সকালে মা দুর্গাকে প্রথমে বরণ করা হয় এখানে (Taki Rajbari Immersion) । এরপর ঠাকুর দালানে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন রাজবাড়ির মহিলারা । নিয়ম মেনে আজও টাকি রাজবাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জনে কোনও যানবাহনের ব্যবহার হয় না । কাঁধে করেই জলের দিকে নিয়ে যাওয়া প্রতিমাকে । সেই রীতিনীতি এবং ঐতিহ্য এখনও বহন করে চলেছেন রাজবাড়ির বর্তমান বংশধররা । প্রতিমা নিরঞ্জনের পর ঠাকুর দালানে বসে সকলে মিলে পান্তা ভাত, কচু শাক, আলু সিদ্ধ, আলু ভাজা ও মিষ্টি খেয়ে থাকেন । পঞ্জিকা মতে সকাল এগারোটার মধ্যে টাকি রাজবাড়ি প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে ইছামতিতে ।
রাজবাড়ির সদস্য শর্মিষ্ঠা ঘোষ বলেন, "গত পাঁচ বছর ধরে এই পুজোর দায়িত্ব আমাদের হাতে এসেছে । তখন থেকেই নিয়ম নিষ্ঠা এবং সমস্ত উপাচার মেনে পুজো হয়ে আসছে টাকি রাজবাড়িতে । আজ দশমী । মাকে বিদায়ের দিন । যার ফলে সকলের মন ভারাক্রান্ত । সকালে মা দুর্গাকে বিধি মেনে পুজো করা হয়েছে । যেহেতু পঞ্জিকা অনুযায়ী সকাল এগারোটার মধ্যে মাকে ভাসান দিতে হবে । সেহেতু ষোড়শ প্রচারে পুজো না করে অষ্ট প্রচারে পুজো করা হয়েছে । ভোগে মাকে নিবেদন করা হয়েছে পান্তা ভাত ও কচু শাক । এছাড়া ভোগ আরতি, যাত্রামঙ্গল পাঠ এবং মায়ের তর্পণ বিসর্জন হয়েছে । 24 জন বেয়ারার কাঁধে চেপে মাকে রাজবাড়ির ঘাটে নিয়ে গিয়ে নিরঞ্জন করা হয়েছে ৷"
আরও পড়ুন:প্রথা মেনে শূকর বলি দিয়ে যমুনা দিঘিতে বিসর্জন হল বড়দেবীর