বারাসত, 26 এপ্রিল : রেড জো়ন উত্তর 24 পরগনার জেলাসদর বারাসতে এবার নজরদারি চালাতে ড্রোনের সাহায্য নিল পুলিশ । ড্রোন দিয়ে বারাসতের প্রায় 4 কিলোমিটার এলাকায় লকডাউনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়।লকডাউন ভাঙার অপরাধে ইতিমধ্যে বারাসত,দত্তপুকুর,মধ্যমগ্রাম দেগঙ্গা সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় 2 হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বারাসতে কোরোনা সংক্রমণ রুখতে আরও কড়া হচ্ছে পুলিশ।নাকা চেকিংয়ের পাশাপাশি লকডাউন অমান্য হচ্ছে কিনা,তা দেখতে ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালানো হচ্ছে জেলা পুলিশের তরফে।আর ড্রোনের মাধ্যমে এই নজরদারি পর্যবেক্ষণ করলেন বারাসত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুরও।লকডাউন ভাঙার অপরাধে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় 2 হাজার জনকে।
কোরোনা আক্রান্তের নিরিখে ইতিমধ্যে উত্তর 24 পরগনা জেলাকে হটস্পট অর্থাৎ রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।বিষয়টি নিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রীও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সংক্রমণ ঠেকাতে কড়া হওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি।এমনকি,রেড জোন উত্তর 24 পরগনা জেলাকে অরেঞ্জ জোনে নিয়ে আসতে 14 দিনের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।তারপর থেকেই বারাসত, মধ্যমগ্রাম সহ জেলাকে কোরোনা মুক্ত অঞ্চলে পরিনত করার জন্য জোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।নানা পদক্ষেপও করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
রেড জো়ন বারাসতে ড্রোনে নজরদারি
কোরোনা আক্রান্তের নিরিখে ইতিমধ্যে উত্তর 24 পরগনা জেলাকে হটস্পট অর্থাৎ রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।বিষয়টি নিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রীও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।সংক্রমণ ঠেকাতে কড়া হওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি।বারাসতে এবার নজরদারি চালাতে ড্রোনের সাহায্য নিল পুলিশ । ড্রোন দিয়ে বারাসতের প্রায় 4 কিলোমিটার এলাকায় লকডাউনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়।লকডাউন ভাঙার অপরাধে ইতিমধ্যে বারাসত,দত্তপুকুর,মধ্যমগ্রাম দেগঙ্গা সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় 2 হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিভিন্ন বাজার,হাট ও মুদির দোকানে একদিকে যেমন নজরদারি চালানো হয়েছে,অন্যদিকে তেমন লকডাউন ভাঙলে কড়া ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।সেই সঙ্গে বাইরের গাড়ির প্রবেশ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে আটকে চলছে নাকা চেকিং-ও।এরই মধ্যে আজ ফের ড্রোনের মাধ্যমে বারাসতের বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি চালাল পুলিশ।টাকি রোডের পাশে একটি মাঠে ড্রোন উড়িয়ে প্রায় 4 কিলোমিটার এলাকায় নজরদারি চালানো হয়।
এবিষয়ে বারাসত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মূলত,কাজিপাড়া,পূর্ব বারাসত প্রভৃতি এলাকায় লকডাউন অমান্য হচ্ছে কিনা তা দেখতেই ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালানো হয়েছে।এছাড়া,বিভিন্ন পাড়ার মধ্যেও জমায়েত ও সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে কিনা,তাও দেখা হচ্ছে ড্রোনের মাধ্যমে।সরকার নির্দেশিত লকডাউনের যে নিয়মবিধি রয়েছে,তা সকলকেই মেনে চলতে হবে।অমান্য করলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে"। তিনি আরও বলেন, "ইতিমধ্যে লকডাউন ভাঙার অপরাধে 2 হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।নিয়ম অমান্য করলেই নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা"।
কেন্দ্রীয় সরকারের দোকান খোলার নির্দেশিকা নিয়ে পুলিশ সুপার বলেন,"এবিষয়ে এখনও অবধি কোনও নির্দেশিকা আমরা পাইনি।সরকারের নির্দেশ যেমন আসবে,তেমন ভাবেই সেই নির্দেশিকা পালন করা হবে"। প্রসঙ্গত, রেড জোন জেলা সদর বারাসতের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কয়েকদিন আগেই পুলিশ সুপারকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী।বিভিন্ন বাজার ও জনবহুল এলাকায় গিয়ে পরিদর্শন করেন তিনি।এবার ড্রোন উড়িয়ে লকডাউন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন পুলিশ সুপার ।