বারাসত, 25 অগস্ট: 'রাজ্যপালের বোধ বুদ্ধি কম! না হলে উনি ইসরোর মতো মহাকাশ গবেষণা সংস্থার থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা চান ! ওনার উদ্দেশ্য মহৎ নয় ৷' যাদবপুর-সহ রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং রুখতে ইসরোর প্রযুক্তিগত সহায়তা চাওয়া নিয়ে এভাবেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে নিশানা করলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। শুক্রবার বারাসতে সিপিএমের জেলা পার্টি অফিসে দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে আসেন তিনি। বৈঠক শেষে এদিন সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এনিয়ে মুখ খোলেন সিপিএম নেতা।
প্রসঙ্গত, এদিনই হাওড়া থেকে মালদা যাওয়ার পথে চলন্ত ট্রেনে যাদবপুর-সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং রুখতে তৎপর হন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। র্যাগিং কমাতে তিনি সরাসরি ইসরোর প্রযুক্তিগত সহায়তা নিতে উদ্যোগ নেন। এই বিষয়ে ইসরো থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে বলে খবর রাজভবন সূত্রে। রাজ্যপালের এই উদ্যোগকেই কটাক্ষ করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে সামাল দিতে ইসরোর থেকে প্রযুক্তিগত সাহায্য চাওয়া লজ্জার বিষয়। রাজ্যপালের বোধ, বিবেচনা এত কম জানতাম না। এটা খুবই দুর্ভাগ্যের। ইসরোর মতো মহাকাশ গবেষণা সংস্থার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকে। তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতেই রাজ্যপালের এই প্রচেষ্টা। যা মারাত্মক ৷" অসৎ উদ্দেশ্যেই তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলেও মনে করেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির এই সদস্য।
Sujan Slams Governor: রাজ্যপালের বোধবুদ্ধি কম, তীব্র কটাক্ষ করলেন সুজন
যাদবপুর-সহ রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং রুখতে ইসরোর প্রযুক্তিগত সহায়তা চাওয়া নিয়ে এভাবেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে নিশানা করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী । অসৎ উদ্দেশ্যেই রাজ্যপাল এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলেও মনে করেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির এই সদস্য।
Published : Aug 25, 2023, 10:48 PM IST
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে জুতো দেখাল বিজেপি কর্মীরা
সুজনের কথায়, "রাজ্যপাল হয়তো জানেন না যে, ইসরোর প্রযুক্তিগত বহু ক্ষেত্রেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান রয়েছে। তাই, অবুঝের মতো রাজ্যপাল র্যাগিং রুখতে সাহায্য চাইছেন ইসরোর থেকে ৷" এদিকে, স্বরূপনগর কলেজে সিসিটিভি লাগানোর বিরোধিতা করে টিএমসিপি-র আন্দোলনে নামাকেও এদিন কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। এই বিষয়ে তিনি বলেন, "সিসিটিভি লাগানো নিয়ে এতদিন ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছিল এরাই। যখনই এসএফআই এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল তখনই আসল চেহারা ধরা পড়ল তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের। যারা যাদবপুরে সিসিটিভি নিয়ে বোঝাতে গেল, তাঁরাই এখন স্বরূপনগরে সিসিটিভির বিরোধিতা করছে। কলেজে ভাঙচুর চালাচ্ছে। তৃণমূল নেতারা যেন ওদের ছেলে-মেয়েদের ভালোভাবে পরিচর্যা করে। যদি ওদের ন্যূনতম বোধ বুদ্ধি থাকে। ওরা অস্বচ্ছ, অসততা নিয়ে চলতে চাই। সেই কারণে সবসময় বৈপরীত্য আচরণ দেখা যায় শাসকদলের মধ্যে ৷" অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর মদতেই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার এত বাড়বাড়ন্ত বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।