আল কায়েদা স্লিপার সেল তৈরির কাজ শুরু করেছিল দাদপুর থেকে ধৃত জঙ্গি বারাসত, 26 এপ্রিল:আল কায়েদা জঙ্গি সংগঠনের চাঁই ছিলেন ধৃত জঙ্গি নাসিমউদ্দিন শেখ। গোপনে এরাজ্যে আল কায়েদার স্লিপার সেল তৈরির কাজও করছিল সে। সেই লক্ষ্যে একসময় উত্তর 24 পরগনার শাসনেও আত্মগোপন করেছিল ধৃত এই আল কায়েদার জঙ্গি । এসটিএফের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর তার কার্যকলাপ সম্পর্কে এমনটাই জানতে পেরেছেন স্পেশাল টাস্কফোর্সের গোয়েন্দারা । ধৃত জঙ্গি নাসিমউদ্দিনের থেকে এবিষয়ে আরও তথ্য পেতে বুধবার তাকে বারাসত আদালতে পেশ করে বেঙ্গল এসটিএফ । বিচারক ধৃত এই আল কায়েদার জঙ্গিকে 14 দিনের এসটিএফ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
তবে, ধৃত জঙ্গি নাসিমউদ্দিনের হয়ে এদিন অবশ্য কোনও আইনজীবীকেই সওয়াল করতে দেখা যায়নি এসিজেএমের আদালতে। সূত্রের খবর, 2022 সালের শাসনের পুরনো একটি মামলার ঘটনায় যুক্ত থাকায় এদিন ধৃত এই জঙ্গিকে বারাসত আদালতে নিয়ে আসে তদন্তকারী অফিসাররা। সেই মামলাতেই এর আগে উত্তর 24 পরগনার শাসন থানা এলাকা থেকে বেঙ্গল এসটিএফের অভিযানে ধরা পড়ে আব্দুর রাকিব সরকার এবং কাজি এহসান উল্লাহ নামে দুই আল কায়েদা জঙ্গি।
পরে, আল কায়েদার জঙ্গি মডিউল সন্দেহে আরও পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করা হয় বিভিন্ন জায়গা থেকে। সেই সময় ধৃতদের কাছ থেকে আল কায়েদার জঙ্গি মডিউলের বিভিন্ন পুস্তিকা, লিফলেট, পেনড্রাইভ-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস বাজেয়াপ্ত করে স্পেশাল টাস্কফোর্সের গোয়েন্দারা। 2022 সালের 18 অগস্ট শাসন থানায় এই বিষয়ে একটি মামলাও রুজু হয়। সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এসটিএফের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, শাসন থানা এলাকাতেই বাড়ি ভাড়া নিয়ে জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছিলেন এরা। তাতে সামিল হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের যুবক নাসিম উদ্দিনও।
আরও পড়ুন:দাদপুরে জঙ্গি সন্দেহে এসটিএফের জালে এক যুবক
জঙ্গি সন্দেহে তার সাত সহযোগী গ্রেফতার হতেই সুযোগ বুঝে সেখান থেকে পালিয়ে গা ঢাকা দেয় আল কায়েদার এই জঙ্গি। সেই থেকে হন্যে হয়ে নাসিম উদ্দিনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। অবশেষে, হুগলির দাদপুরে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে হদিশ মেলে তার ৷ এই জঙ্গির মাধ্যমে স্লিপার সেলের সদস্যরা রাজ্যের কোথায় কোথায় কাজ শুরু করেছে তা ধৃত নাসিম উদ্দিনকে জেরা করে জানার চেষ্টা করছে এসটিএফের গোয়েন্দারা।