বারাসত, 1 ফেব্রুয়ারি : ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে সাসপেন্ড হয়েছিলেন চিকিৎসক অরুণাচল দত্তচৌধুরি । 26 মাস পর তাঁর সাসপেনশন প্রত্যাহার করল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর । স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে পাঠানো চিঠি গতকাল পৌঁছেছে এই চিকিৎসকের কাছে । তবে, চিঠিতে কোথায় তিনি জয়েন করবেন, সেবিষয়ে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে ৷ যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন ওই চিকিৎসক ।
এবিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন সাহা বলেন, "ওই চিকিৎসকের সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে । স্বাস্থ্য দপ্তরের পাঠানো চিঠিও তিনি হাতে পেয়ে গেছেন । তিনি কোথায় জয়েন করবেন, সেটা স্বাস্থ্য দপ্তরের পরবর্তী নির্দেশিকায় জানা যাবে । আমরা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে এব্যাপারে কথা বলে নেব ৷"
2017 সালে উত্তর 24 পরগনা জেলায় ডেঙ্গি মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল । হাবরা, অশোকনগর, দেগঙ্গা, বারাসত সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল । অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছিল । বারাসত জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর চাপ দিনদিন বাড়ছিল । সেই সময় ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন অরুণাচল দত্তচৌধুরি । ডেঙ্গি প্রাদুর্ভাব নিয়ে একদিকে রোগীদের চাপ, অন্যদিকে হাসপাতালের পরিকাঠামোর অভাবের কথা তিনি ফেসবুকে তুলে ধরেছিলেন । যা নিয়ে ওই চিকিৎসককে কোপে পড়তে হয় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের । ওই বছরের 1 অক্টোবর সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে । স্বাস্থ্য দপ্তরের এই পদক্ষেপে সেই সময় ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাজ্যের চিকিৎসকরা । বারাসত সহ রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল হয় । স্বাস্থ্য দপ্তর ঘেরাওয়ের ডাকও দেওয়া হয় চিকিৎসক সংগঠনের তরফে । সেই আন্দোলন ঠেকাতে পুলিশকে 144 ধারা জারি পর্যন্ত করতে হয় । এরপরও তার সাসপেনশন তুলে নেয়নি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ।
অবশেষে 26 মাস পর প্রত্যাহার হল ওই চিকিৎসকের সাসপেনশন । এনিয়ে চিকিৎসক অরুণাচল দত্তচৌধুরির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,"আমার অবসরের আর মাত্র 4 মাস সময় রয়েছে । তার আগে সাসপেনশন প্রত্যাহার হওয়ায় খুব ভালো লাগছে । দ্রুত আমি কাজে ফিরতে চাই । তবে,সাসপেনশনের চিঠিতে কোথায় আমি জয়েন করব, তা নিয়ে কোনও গাইড লাইন দেওয়া হয়নি । এনিয়ে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে সোমবার দেখা করে কথা বলব ৷"