বারাসত, 27 অক্টোবর: জেলা পুলিশ এবং প্রশাসনের কড়া নির্দেশ কোভিডবিধি মেনে এবারও কালীপুজোর আয়োজন করতে হবে পুজো কমিটিগুলিকে। প্রশাসনের সেই নির্দেশ খতিয়ে দেখতে বুধবার আচমকাই বারাসতের একাধিক পুজো প্যান্ডেলে সারপ্রাইজ ভিজিট করলেন জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর, বারাসতের এসডিপিও সত্যব্রত চক্রবর্তী, স্থানীয় থানার আইসি দীপঙ্কর ভট্টাচার্য-সহ পুলিশ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা। পুজো প্যান্ডেলের যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় খতিয়ে দেখে মোটের উপর এদিন সন্তোষ প্রকাশ করেন জেলার পুলিশ সুপার। তবে কিছু প্যান্ডেলে ত্রুটি নজরে আসায় আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
দুর্গাপুজো মিটতেই আবারও রাজ্যে কোভিড সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে সামনেই কালীপুজোর আয়োজনে কোনওরকম ঢিলেমি দিতে নারাজ প্রশাসন। বিশেষ করে জেলাসদর বারাসতের কালীপুজো জাঁকজমকভাবে হওয়ায় ইতিমধ্যেই সেখানে বাড়তি নজর দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। নজর রয়েছে মধ্যমগ্রামের পুজোগুলির দিকেও। কারণ,বিগত কয়েকবছর ধরে বারাসতের পুজো কমিটিগুলিকে রীতিমতো টেক্কা দিয়ে আসছে মধ্যমগ্রামের পুজো উদ্যোক্তারাও। ফলে, পুজোর সময় জনসমাগম থেকে সংক্রমণ ঠেকানোই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে। সেই কারণে বারাসত এবং মধ্যমগ্রামের পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে করে ইতিমধ্যেই কোভিডবিধি মেনে পুজোর আয়োজন করার নির্দেশিকা জারি করেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। কড়া বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে কোভিডবিধি অমান্য হলেই পুজোর অনুমোদন বাতিল করা হবে। সেইসঙ্গে এও বলা হয়েছে পুজো প্যান্ডেলের তিনদিক খোলা রাখতে হবে। যাতে প্রতিমা দর্শন করে সহজেই বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে সাধারণ মানুষ। দর্শনার্থীদের সুরক্ষার দিকেও নজর দিতে হবে পুজো কমিটিগুলিকে। এছরও কোনও পুজো কমিটি ভিআইপি পাস বিলি করতে পারবে না। এমন নিষেধাজ্ঞার কথা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের তরফে। এই সমস্ত নির্দেশিকা কতটা পালন করা হচ্ছে, তা দেখতেই এদিন পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে আচমকা বারাসতের বেশকিছু প্যান্ডেলে সারপ্রাইজ ভিজিট করেন জেলার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়।