ঠাকুরনগর, ৬ মার্চ : ঠাকুরবাড়ির এক উত্তরাধিকারী। প্রয়াত কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের প্রথম পক্ষের মেয়ে। তিনি সিলভিয়া পোদ্দার ঠাকুর (৫৪)। যাঁর ছেলেবেলার বেশিরভাগ সময়টা কেটেছে বড়মার কাছে।
ঠাকুমা বাবুইয়ের বাসা দেখাতে নিয়ে যেত : সিলভিয়া
বীণাপানিদেবীর অন্তিমযাত্রায় ঠাকুমার স্মৃতিচারণায় সিলভিয়া। ঠাকুমাকে তিনি মা বলেই ডাকতেন। ছেলেবেলায় পড়াশোনা করানো থেকে ভাত খাওয়ানো সবই করতেন বড়মার কাছে।
বীণাপানিদেবীর অন্তিমযাত্রায় ঠাকুমার স্মৃতিচারণায় সিলভিয়া। ঠাকুমাকে তিনি মা বলেই ডাকতেন। ছেলেবেলায় পড়াশোনা করানো থেকে ভাত খাওয়ানো সবই করতেন বড়মার কাছে। মা অমলা ঠাকুর বিদেশে থাকেন। তাই ছেলেবেলা থেকে বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের ছায়াতেই তাঁর বেড়ে ওঠা। তাঁর স্কুলে ভর্তি থেকে গৃহশিক্ষক ঠিক করা সবই করতেন বীণাপাণিদেবী। বড়মার সঙ্গে বাবুইপাখির বাসা দেখতে যেতেন।
বড়মার মৃত্যুর খবরে শ্বশুরবাড়ি থেকে সকালেই তিনি চলে এসেছেন ঠাকুরবাড়িতে। বড়মার মরদেহে মালা দিয়েছেন। ETV ভারতকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বললেন, ঠাকুমাকে ঘিরে তাঁর নানা স্মৃতিকথা। সিলভিয়া বলেন, " নিজের মা কাছে ছিল না। ছোটবেলায় আমার যখন অসুখ হয়েছিল, বড়মা তুলোয় করে আমাকে মিছরির জল খাওয়াত। বাবুইয়ের বাসা দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগত। বড়মা রোজ বিকেলে আমাকে বাবুইয়ের বাসা দেখাতে নিয়ে যেত। আমি ছিলাম তাঁর ছায়াসঙ্গী। সেই বড়মা আর নেই।"