গাইঘাটা, 12 জুন: মতুয়াদের মন্দির ঠাকুরবাড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের যাওয়াকে কেন্দ্র করে রবিবার যে উত্তেজনা তৈরি হয়, সেই ঘটনায় খোদ শান্তনু ঠাকুর এবং সুব্রত ঠাকুরের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করল রাজ্য পুলিশ। অন্যদিকে, পালটা ঘটনার জেরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করার পাশাপাশি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর ৷
রবিবার ঠাকুরবাড়ির মন্দির এলাকার সঙ্গেই হাসপাতালেও দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি এবং তৃণমূলের কর্মীরা ৷ শান্তনু ঠাকুরদের অভিযোগ, হাসপাাতলে ঢুকে মতুয়া ভক্তদের মারধর করে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী এবং পুলিশ ৷ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও অভিযোগ তাঁর ৷ একইসঙ্গে সোমবার শান্তনু ঠাকুর অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁদের একাধিক সমর্থক ও ভক্ত আক্রান্ত হলেও তিনি পালটা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার পথে হাঁটছেন না। তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী। পাশাপাশি ঠাকুরবাড়ির ঘটনার সিবিআই তদন্তেরও এদিন দাবি করেছেন শান্তনু ঠাকুর।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠাকুরবাড়িতে পুজো দেওয়াকে কেন্দ্র করে রবিবার দফায়-দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এলাকায়। যার রেশ পৌঁছে গিয়েছিল চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরেরও অভিযোগ তুলেছিল মতুয়া এবং তৃণমূল সমর্থকেরা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ আটজনকে গ্রেফতার করেছে। একইসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত গাইঘাটা থানায় এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনা নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মমতাবালা ঠাকুরও। হাসপাতালে সংঘর্ষের ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ দায়ের করেছে বলে খবর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে শান্তনু ঠাকুর, সুব্রত ঠাকুরের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা, পুলিশকে হেনস্তা এবং অভিযুক্তকে ছিনতাইয়ের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ৷ তবে শান্তনু ঠাকুরের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। এদিন শান্তনু ঠাকুর জানান, রাজ্য পুলিশ তাঁর মামলা নেবে না।
আরও পড়ুন:বাংলায় মণিপুরের রাজনীতি আনছে বিজেপি, ঠাকুরবাড়ির গণ্ডগোলে সরব তৃণমূল
অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুর অভিযোগ করে জানান, গাইঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তাঁকে লোক দিয়ে এনকাউন্টার করে দেবে বলে হুমকি দিয়েছেন ৷ ফলে বিষয়টি নিয়ে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন ৷ পাশাপাশি তিনি ঘটনার সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন। মামলা নিয়ে তিনি বলেন, "তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী অসুস্থ মতুয়া ভক্তদের এবং বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক স্বপন মজুমদারকে মারধর করেছে। পুলিশ এবং হাসপাতালের বিএমওএইচ তারা তাদের চাকরি বাঁচানোর জন্য অনেক কিছুই করতে পারেন।"