ঠাকুরনগর, 2 অক্টোবর : মমতাবালা ঠাকুরের অনুগামীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল শান্তনু ঠাকুরের অনুগামীদের বিরুদ্ধে ৷ মমতাবালাকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ ৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শান্তনু ৷ তাঁর পালটা দাবি, মমতাবালার এক অনুগামী বহিরাগতদের নিয়ে এসে তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছে ৷
NRC ইশু নিয়ে আজ ঠাকুরবাড়িতে দুটি পৃথক বৈঠক ডেকেছিলেন মমতাবালা ও শান্তনু ৷ সেজন্য সকাল 10টা নাগাদ ঠাকুরবাড়ির নাটমন্দিরে এসেছিলেন মমতাবালার অনুগামীরা ৷ সেখানে আগে থেকেই হাজির ছিলেন শান্তনুর অনুগামীরাও ৷ মমতাবালা শিবিরের বক্তব্য, এরপর কপিল স্মৃতিভবনে বৈঠকের তোড়জোড় শুরু করেন তাঁরা । সেখানে হাজির ছিলেন সুকৃতি বিশ্বাসও ৷ শান্তনুর অনুগামীরা তাঁকে নাটমন্দিরে যেতে বলেন, এমনই দাবি করেছে মমতাবালার শিবির ৷
তাঁদের অভিযোগ, নাটমন্দিরে ঢোকার মুখে সুকৃতির উপর হামলা চালায় শান্তনুর অনুগামীরা ৷ খবর পেয়ে সেখানে আসেন মমতাবালা ৷ অভিযোগ, তাঁর শাড়ি নিয়ে ছিঁড়ে দেওয়া হয় ৷ চুলের মুঠি ধরে মারা হয় ৷ পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে গোলমাল থেমে যায় ৷ সেই ঘটনার 30 মিনিট পর সেখান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল মমতাবালার অনুগামীরা ৷ অভিযোগ, গাড়িতেও হামলা চালায় শান্তনুর অনুগামীরা ৷ আক্রান্ত হন এক সংবাদকর্মী ৷ তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ৷ পরে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ ৷
মমতাবালার অভিযোগ, "আমরা পুলিশের অনুমতি নিয়ে নাটমন্দিরে আজ NRC সম্পর্কিত সভা করতে চেয়েছিলাম । সেখানে শান্তনু আমাদের বৈঠক করতে দেয়নি । আমরা অন্য জায়গায় সভা করেছিলাম । সেখান থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে আমাদের মারধর করেছে । গাড়ি ভাঙচুর করেছে ।" যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শান্তনু ৷ তিনি বলেন, "সব মিথ্যে কথা । সাজানো কথা । সুকৃতিই ওপার থেকে বহিরাগতদের নিয়ে এসে আমাদের বৈঠকে হামলা চালিয়েছে ৷"