বসিরহাট, 27 মে : একে তো যশ । তার উপর দোসর ভরা কোটাল । এই জোড়া ফলায় কার্যত বিপর্যস্ত সুন্দরবন । নদীবেষ্টিত সুন্দরবনের সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ ও মিনাখাঁর কোথাও ফাটল ধরেছে নদীবাঁধে, আবার কোথাও জলের তোড়ে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম । যেদিকেই চোখ যাবে সেদিকেই শুধু দেখা মিলবে জলরাশির ৷ কোনটা রাস্তা আর কোনটা নদী তা বোঝাই এখন দুষ্কর । জলের তলায় চলে গিয়েছে ঘরবাড়ি, বিঘার পর বিঘা চাষের জমি ও মাছের ভেড়ি ।
প্রশাসন সূত্রে খবর, প্লাবনের জেরে একাধিক মাছের ভেড়ি ও কৃষি জমিতে নদীর নোনাজল ঢুকে পড়েছে । যার ফলে একদিকে ধান, ঢেঁড়স, আলু, লঙ্কার মত সবজি ও ফসলের যেমন ক্ষতি হয়েছে ৷ অন্যদিকে তেমনই ভেড়ির বিভিন্ন ধরনের মাছও নষ্ট হয়ে গিয়েছে । যার জেরে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন বসিরহাট মহকুমার কয়েক হাজার কৃষক এবং মৎস্যজীবী । সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি এবং মিনাখাঁ ব্লক ।
হিঙ্গলগঞ্জের সান্ডেলবিল, সর্দারপাড়া, ভাণ্ডারখালি ও দুলদুলি এলাকা যেমন ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় রয়েছে । তেমনই আছে সন্দেশখালি 1 নম্বর ব্লকের আখড়াতলা, ভোলাখালি, বয়ারমারিও । হাসনাবাদ ব্লকের ঘূর্ণি, পাটলি, খানপুর, খাঁপুকুর ছাড়াও মিনাখাঁ ব্লকের রাম জয়ঘেরি, মল্লিকঘেরি, কুমারজোল । সন্দেশখালি 2 ব্লকের আতাপুর, ধামাখালি এবং মণিপুরের মতো নদীবেষ্টিত প্রতিটি গ্রাম জলের তলায় চলে যাওয়ায় দেখে মনে হতেই পারে এ যেন কোনও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ । এই সমস্ত গ্রামে নোনা জল ঢুকে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে খবর প্রশাসন সূত্রে ।