কোচের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জাতীয় খেলোয়াড়ের বারাসত, 25 জুলাই: জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনের কর্তা ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তোলপাড় হয়েছিল দেশের ক্রীড়ামহল। ধরনায় বসেছিলেন জাতীয়, আর্ন্তজাতিক এমনকী অলিম্পিকস মঞ্চে পদকজয়ী কুস্তিগীররা। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না-কাটতেই এবার শ্লীলতাহানির অভিযোগে শোরগোল কলকাতায়। তবে কুস্তির আখড়ায় নয়, স্কেটিং কোচের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে সরব হয়েছেন জাতীয় স্তরের এক রোলার স্কেটিং খেলোয়াড়।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে ওই কোচের বিরুদ্ধে নিউটাউন থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। সেই মামলায় আইনজীবী মারফত মঙ্গলবার বারাসত আদালতে গোপন জবানবন্দি দিলেন নির্যাতিতা ওই ক্রীড়াবিদ। জানা গিয়েছে, বছর পঁচিশের ওই নির্যাতিতা দক্ষিণ 24 পরগনার রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা। ওই ক্রীড়াবিদের অভিযোগ, স্কেটিং কোচ আলিমুদ্দিন আনসারি ওরফে আলি তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। রাজি না-হওয়ায় তাঁর শ্লীলতাহানি করেন তিনি। শুধু তাই নয়, রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের কাছে নালিশ করায় ওই ক্রীড়াবিদকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে কোচের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন:রাস্তায় আর আন্দোলন নয়, যা হবে কোর্টে ; জানিয়ে সোশাল মিডিয়া থেকে বিরতি কুস্তিগীরদের
2019 সালে যখন ভাইজ্যাকে ন্যাশনাল স্কেটিং চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি খেলতে গিয়েছিলেন, তখন থেকেই ওই রোলার স্কেটারকে কুপ্রস্তাব দেওয়া হচ্ছিল। তাঁর এক বান্ধবীকেও একইভাবে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়। তরুণীর দাবি, হুমকির সুরে ওই স্কেটিং কোচ তাঁকে বলেছিলেন, এমন কিছু করে দেব, যাতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়তে হবে। বড় বড় নেতাদের সঙ্গে আমার ওঠাবসা রয়েছে, কেউ কিচ্ছু করতে পারবে না।
এদিকে, রোলার স্কেটিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়াকে ইমেল এবং হোয়াটসঅ্যাপ মারফত অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ না-হওয়ায় শেষে এই ক্রীড়াবিদ নিউটাউন থানার দ্বারস্থ হন। শ্লীলতাহানি এবং হুমকির অভিযোগ দায়ের করেন ক্রীড়া প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা তরুণীর বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন কোচ আলিমুদ্দিন আনসারি।
অন্যদিকে, আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়ে নির্যাতিতা ওই ক্রীড়াবিদ সংবাদমাধ্যমে বলেন, "ফেডারেশনকে বারবার অভিযোগ জানানো হলেও ফেডারেশন সাড়া দেয়নি। এখন হয়তো চাপে পড়ে মিটমাট করতে চাইছে ! কিন্তু, ওনারা এখন মিটমাট করতে চাইলেও তিনি রাজি নই ৷ এবার যা হবে কোর্টের মাধ্যমে। এদিন 164 ধারায় গোপন জবানবন্দিও দিয়েছি। বাকিটা আদালতের বিচার্য বিষয়।"
আরও পড়ুন:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করলেন বজরং-সাক্ষীরা