দত্তপুকুর, 24 সেপ্টেম্বর : দত্তপুকুরের বুড়োমায়ের পুজো ৷ এক ডাকে এই পুজোকে সবাই চেনে ৷ কথিত আছে, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় এই অঞ্চলে নৌকা বিহারে এসেছিলেন ৷ জায়গাটি খোঁড়ার সময় প্রমাণস্বরূপ জাহাজের টুকরো পাওয়া গিয়েছিল ৷ তারপর থেকেই জায়গাটি রাজার ভীষণ পছন্দ হয়ে যাওয়ায় নাতিকে এখানে বাড়ি করে দেন ৷ তখনই রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এই পুজোটি প্রতিষ্ঠা করেন আজ থেকে প্রায় 351 বছর আগে ৷
বর্তমানে রায়বাড়ির চারজন শরিক এই পুজো করে আসছেন ৷ মাঝে মাঝে অভাব অনটন দেখা দিলেও বুড়োমার পুজো আজ পর্যন্ত কখনও বন্ধ হয়নি ৷ দু'বেলা অন্নভোগ বুড়োমার পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য ৷ তাঁর পুজো শুরু না হওয়া পর্যন্ত এই গোটা দত্তপুকুর, বারাসত কোনও এলাকার পুজো শুরু হয় না ৷ বিসর্জনের ক্ষেত্রেও নিয়ম এক ৷ বুড়োমার বিসর্জন হওয়ার পর অন্যান্য প্রতিমার বিসর্জন হয় ৷ এর জন্য বৃহস্পতিবার ও শনিবার যাই পড়ুক, দশমীর দিন বুড়োমার বিসর্জন হয় ৷ করোনার কথা মাথায় রেখে দেবী বুড়োমার পুজোতে এবারেও থাকছে বিধিনিষেধ ৷ রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের বংশধর রেণুকা রায় জানান, এ বছর সাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে ভোগ বিতরণ ৷ শুধুমাত্র বুড়োমার পুজোর জন্য যেটুকু প্রয়োজন হয় সেইটুকু ভোগই রান্না হবে ৷