দেগঙ্গা, 1 নভেম্বর : শওহরের সঙ্গে সংসার করতে চেয়ে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন যুবতি । যুবতির সঙ্গে প্ল্যাকার্ড হাতে ধরনায় সামিল হন তাঁর আব্বা ও এক ভাইও । ঘটনার জেরে শোরগোল পড়ে দেগঙ্গার নুরনগর পঞ্চায়েতের বেনাপুর গ্রামে । ঘটনার আঁচ পেয়ে আগেই তালা মেরে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান যুবতির শওহর-সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা । পরে, স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের আশ্বাসে ধরনা তুলে নেন যুবতি ও তাঁর পরিবারের লোকেরা ।
তানজিলা বিবি নামে ওই যুবতির বাড়ি মাটিয়া থানার কচুয়া পঞ্চায়েতের গৌরি ভোজ গ্রামে । বছর তিনেক আগে ফোনের কথোপকথনের সময় তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় আলফাজ় রহমান নামে এক যুবকের । পরে, প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁদের মধ্যে । আলফাজ়ের বাড়ি দেগঙ্গার নুরনগর পঞ্চায়েতের বেনাপুর গ্রামে । পাঁচ মাস আগে রেজিস্ট্রি করে নিকাহ হয় তাঁদের । নিকাহর পরই যুবতিকে নিজের বাড়িতে না নিয়ে গিয়ে বাপেরবাড়িতে রেখে দেন শওহর আলফাজ় । সেখানে মাঝেমধ্যে আসতেনও তিনি ।
অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য শওহরকে বারবার চাপ দিলেও সেখানে যুবতিকে নিয়ে যাওয়া হয়নি একবারও । বিষয়টি উঠলেই বারবার এড়িয়ে গেছেন বলে অভিযোগ । এরই মধ্যে আজ সকালে আচমকা দেগঙ্গায় শ্বশুরবাড়িতে সটান হাজির হয়ে যান ওই যুবতি । সঙ্গে ছিলেন তাঁর আব্বা মহম্মদ আলি মল্লিক ও এক ভাইও । কিন্তু, শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি । কারণ, দরজায় তালা মেরে আগেই শওহর-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা উধাও হয়ে গেছেন সেখান থেকে । শেষে, দাবি পূরণে প্ল্যাকার্ড হাতে শ্বশুরবাড়ির সামনেই বেঞ্চ পেতে ধরনায় বসেন যুবতি । প্ল্যাকার্ডে কোথাও লেখা ছিল "আমি আমার শ্বশুরবাড়িতে থাকতে চাই" । আবার কোথাও লেখা ছিল "আমার বাবা গরিব বলে আমার বিয়ে মেনে নিচ্ছে না শ্বশুরবাড়ির লোকেরা" । প্রায় ঘণ্টা দুয়েক চলে এই ধরনা । এরপর খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন নুরনগর পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান আবদুল রউফ । তিনি বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিলে ধরনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ।