বারাসত, 11 অগাস্ট : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও পুকুর ভরাট করার কাজ চলছে অবাধে । বারাসত স্টেশনের ঠিক পাশে, বনমালিপুর এলাকায় চলছে এই কাজ । অভিযোগ, শাসকদলের মদতেই পুকুরের একাংশ আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হয়েছে । যা নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা । ইতিমধ্যে, বিষয়টি পৌরসভা ও প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর । যদিও, পৌরসভার দাবি, অভিযোগ পাওয়ার পরই পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ।
সম্প্রতি, উত্তর 24 পরগনার মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে পুকুর ও জলাভূমি ভরাট যাতে না হয়, সেজন্য পৌরসভা ও প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু, সেই নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই অবাধে চলছে পুকুর ভরাটের কাজ । এই অভিযোগ করেছেন পৌরসভার 14 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা । বারাসত স্টেশনের ঠিক পাশে 30 কাঠা জমির উপর একটি পুকুর রয়েছে । সেটি বোজানোর কাজ চলছে । ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় একটি ক্লাবের । অন্যদিকে, অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের একাংশের বিরুদ্ধেও । ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।
স্থানীয় বাসিন্দা শংকর দাস বলেন, "পুকুরটি নানা কৌশলে ভরাটের চেষ্টা চলছে । মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, পুকুর ও জলাভূমি ভরাট করা চলবে না । আর তাঁর দলের একাংশই এই ভরাটের সঙ্গে জড়িত আছে । 'জল ধরো, জল ভরো' প্রকল্পে পুকুর সংস্কারের কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী । অথচ, বারাসতের বিভিন্ন এলাকায় পুকুর ভরাট করা হচ্ছে । পৌরসভা সবকিছুই জানে । দেখছি, দেখব বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে পৌরসভা । "
স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সমীর কুণ্ডু বলেন, "আমাদের ইচ্ছে ছিল পুকুরকে ব্যবহার করে যদি কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করা যায় । সে জন্য পুকুরের মালিক উমেশ চন্দ্র ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা বলি । উনি আমাদের বলেন, কিছু জমি তাঁকে দেওয়ার পর পৌরসভা যদি সেখানে কোনও কাজ করে তাতে আপত্তি নেই । কিন্তু কিছু লোক পুকুরের একাংশ ভরাট করছে । সঙ্গে সঙ্গে আমি জমির মালিককে দিয়ে বারাসত থানায় জেনেরাল ডায়েরি করিয়েছি । তারপরেও পুকুর ভরাট চলতে থাকায় বিষয়টি পৌরপ্রধান ও উপ-পৌরপ্রধানকে জানানো হয় ।"
কাউন্সিলরের দাবি, এখন পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ আছে । সমীরবাবু বলেন, "বারাসতে জেলাশাসকের দপ্তর সংলগ্ন এলাকায় আবর্জনা ফেলার জায়গা ছিল । সেটি এখন অস্থায়ীভাবে পুকুরের পাশে করা হয়েছে । সেখানে বড় বাজারের বিভিন্ন নোংরা কমপ্যাক্টরের সাহায্যে প্রসেস করে ফেলা হয় ।" পৌরপ্রধান সুনীল মুখার্জি বলেন, "স্থানীয় একটি ক্লাব পুজো করবে বলেছিল । এখন পুকুর ভরাটের কাজ পুরোপুরি বন্ধ ।"