সন্দেশখালি, 10 জুন : শিয়রে অমাবস্যার কোটাল ৷ তার উপর আবার নিম্নচাপ । তাই আগে ভাগে সুন্দরবনের মৎস্যজীবী ও নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করার কাজে নামল পুলিশ-প্রশাসন । বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জের নদী তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করে প্রচার চালান পুলিশ কর্মীরা । নদী ও স্থল দু'পথেই চলে এই সতর্কতামূলক প্রচার । পুলিশের পাশাপাশি সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হয় স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফেও । হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ তুষার মণ্ডল পথে নেমে এবিষয়ে সতর্ক করেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের । লক্ষ্য একটাই, দুর্যোগ থেকে বিপদ এড়ানো ।
যশের দগদগে ক্ষত এখনও শুকোয়নি । তারই মধ্যে অমাবস্যার ভরা কোটাল ও নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, যার ফলে এখন গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো অবস্থা সুন্দরবনবাসীর । এমনিতেই যশের তাণ্ডবে সবকিছু হারিয়ে সর্বস্বান্ত হতে হয়েছে সুন্দরবন অঞ্চলের বাসিন্দাদের । তার উপর অমাবস্যার কোটাল এবং নিম্নচাপের ভ্রুকুটিতে দিশেহারা অবস্থা দুর্গত মানুষের । কী করবেন ? কোথায় যাবেন ? ভেবেই কূল-কিনারা পাচ্ছেন না সুন্দরবন লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি ও মিনাখাঁর অসংখ্য বানভাসি মানুষ । যদিও তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন । তা সত্ত্বেও প্লাবনের আশঙ্কার প্রহর গুনছেন দুর্গতরা ৷ তাদের শঙ্কা, কোটাল ও নিম্নচাপের জেরে নদীতে জলোচ্ছ্বাস হলে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দিয়ে জল ঢুকতে পারে লোকালয়ে । ফলে নতুন করে জলবন্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ৷ আর এই জোড়া ফলায় রাতের ঘুম উড়েছে সুন্দরবনবাসীর ।
ইতিমধ্যে আবহাওয়া অফিস 11 ও 26 জুন পরপর দু'টি ভরা কোটালের আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে । সেই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে আগামী কয়েকদিন প্রবল বর্ষণের সম্ভবনার কথাও জানানো হয়েছে হাওয়া অফিস থেকে । আর সেই সতর্কবাণীর পরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন । যশ বিধ্বস্ত সন্দেশখালি এবং হিঙ্গলগঞ্জে মাইকিং করে প্রচার চালানোর পাশাপাশি নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে । এমনকি বজ্রপাত সময় কী করণীয়, আর কী করণীয় নয়, সেবিষয়েও প্রচার চালানো হচ্ছে । সতর্ক করা হচ্ছে মৎস্যজীবীদের । স্থানীয় কালীতলা ও খুলনা পঞ্চায়েতের তরফেও এদিন সতর্ক করা হয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের ৷