ব্যারাকপুর, 8 অক্টোবর : BJP নেতা মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনায় সুবোধ যাদব নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করল CID । ধৃত সুবোধের বাড়ি ব্যারাকপুর পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডে । আজ ভোররাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় । এই খুনের ঘটনায় আগেই মহম্মদ খুররম ও গোলাম শেখ নামে দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছিল CID ।
গত রবিবার রাতে টিটাগড় থানার কাছে পার্টি অফিসের সামনে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন মণীশ শুক্লা । এই ঘটনার পর BJP-র পক্ষ থেকে সোমবার 12 ঘণ্টা ব্যারাকপুর বনধ পালন করা হয়। দলের কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায় পর দিনই মণীশ শুক্লার বাড়িতে যান। সেদিন সাংবাদিকদের কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, "মণীশ খুনে তৃণমূল ও পুলিশের যোগ রয়েছে। ঘটনায় আমরা CBI তদন্ত চাই।" যদিও সোমবারই মণীশ খুনের তদন্তভার CID-র হাতে তুলে দেওয়া হয়। তদন্তভার হাতে নেওয়ার 24 ঘণ্টার মধ্যে মহম্মদ খুররম ও গোলাম শেখ নামে দু'জনকে গ্রেপ্তার করে তারা । বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে BJP সাংসদ অর্জুন সিং দাবি করেন, ধৃত খরুরমের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের যোগ রয়েছে।
মণীশ শুক্লা খুনে গ্রেপ্তার আরও এক - সুবোধ যাদব
মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনায় সুবোধ যাদব নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করল CID । আজ ভোররাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ।

ধৃত খুররম ও গোলামকে জেরা করে আজ ভোররাতে সুবোধ যাদবকে CID গ্রেপ্তার করেছে। ধৃত সুবোধ ব্যারাকপুরের পৌরপ্রশাসক উত্তম দাসের ঘনিষ্ঠ। ফলে মণীশ খুনে তৃণমূল যোগ ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে বলে BJP নেতৃত্বের দাবি । BJP সাংসদ অর্জুন সিং ফের বলেন, "আমরা প্রথম থেকে বলে আসছি মণীশের খুন একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড । তৃণমূল আর পুলিশ মিলে এই খুন করেছে । আমরা আমাদের সোর্স থেকে জেনেছি, ধৃত সুবোধ ব্যারাকপুরের পৌরপ্রশাসক উত্তম দাসের ঘনিষ্ঠ। নির্মল ঘোষেরও কাছের লোক । আরও অনেক তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে খুনিদের যোগসাজশ রয়েছে। তাই ঘটনার তদন্ত CID করলে হবে না। CBI-কে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে । তা হলে আসল অপরাধীরা ধরা পড়বে। না হলে চুনোপুঁটিদের ধরে পুলিশ বা CID ঘটনাটা ঢামাচাপা দিয়ে দেবে।" CID সূত্রে জানা গিয়েছে, সুবোধ সেদিন খুনের সময় ঘটনাস্থান থেকে সবকিছু পরিচালনা করেছিল। সুবোধকে আজ ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে 12 দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক ।