সন্দেশখালি, 5 জানুয়ারি: সন্দেশখালি কাণ্ডে অবশেষে 10 জনকে আটক করল পুলিশ। ইডি আধিকারিক এবং সংবাদ মাধ্যমের ওপর হামলা, মারধোরের ঘটনায় এরা জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ঘটনার প্রায় আট ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর পুলিশের একটি দল অভিযান চালায় সন্দেশখালির সরবেড়িয়া এবং রাজবাড়ি এলাকায়। পৃথক দু'টি এলাকা থেকেই এই 10 জনকে আটক করে ন্যাজাট থানায় নিয়ে যায় পুলিশ । সূত্রের খবর, বাকি হামলাকারীদের খোঁজেও তল্লাশি অভিযান চলছে পুলিশের তরফে। ফলে, এই ঘটনায় আটক অথবা গ্রেফতারের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই ধারণা তদন্তকারীদের।
যদিও সন্দেশখালি কাণ্ডে কারা জড়িত, কাদের মদতে গোটা হামলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল তা ইতিমধ্যেই এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তাদের পরিচয় তুলে ধরেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি তিনজনকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এদের মধ্যে দু'জন আবার শেখ শাহজাহানের ভাই। অন্যজন হলেন সরবেড়িয়া অগরহতি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। আটক ব্যাক্তিদের মধ্যে তাদের কেউ রয়েছে কি না, তা অবশ্য জানা সম্ভব হয়নি। কারণ আটক ব্যাক্তিদের পরিচয় এখনও সামনে আনেনি পুলিশ।
এদিকে, তদন্তকারী অফিসারদের উপর শুধু হামলা চালানোই নয় ! ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছে না ইডি আধিকারিকদের একটি ল্যাপটপের । যে ল্যাপটপটি ইডির কোনও একজন অফিসারের সঙ্গে ছিল বলেই জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি দু’টি মোবাইলও পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা যাচ্ছে। ইডি সূত্রের দাবি, খোয়া যাওয়া ল্যাপটপে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও ছিল।
সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়েছিল ইডি। কিন্তু সেই তদন্ত করতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতার সন্মুখীন হতে হল ইডি আধিকারিকদের, তা হয়তো কল্পনাতেও ছিল না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কর্তাদের। শুক্রবার পরিস্থিতি যে জায়গায় পৌঁছেছিল তাতে বড় কোনও অঘটনও ঘটতে পারত ! কার্যত এদিন মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসতে পেরে ভগবানের দিকে দু'হাত তুলে ধন্যবাদজ্ঞাপন করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ঘনিষ্ঠ মহলে ইডি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের অভিজ্ঞতা প্রথম।
আরও পড়ুন
- সন্দেশখালি কাণ্ডে রাজ্যকে কড়া বার্তা রাজ্যপালের, তলব মুখ্যসচিব-স্বরাষ্ট্রসচিব-ডিজিকে
- সন্দেশখালির ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্তর
- 'মাস্তানি করলে নিজেদের সুরক্ষিত রাখা উচিত ছিল', সন্দেশখালি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য পঞ্চায়েতমন্ত্রীর