যৌন নির্যাতনের ঘটনায় দোষীকে 20 বছরের কারাদণ্ডের সাজা বারাসত, 13 সেপ্টেম্বর: কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের মামলায় দোষী সাব্যস্তকে 20 বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বারাসত কোর্টের বিশেষ পকসো আদালত । মঙ্গলবার পকসো আইনে নির্যাতিতার আত্মীয়কে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক মুকুল কুমার কুণ্ডু । বুধবার এই মামলায় সাজা ঘোষণা হল।
20 বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি 50 হাজার টাকার জরিমানাও করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিতে না-পারলে অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির 376, 2/1/এফ/এন এবং পকসো আইনের 6 ধারায় মামলা রুজু হয়। 12 জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল এই মামলায়। মামলাটি প্রায় দু'বছর ধরে চলেছে বারাসত কোর্টের বিশেষ পকসো আদালতে। সেই মামলারই সাজা ঘোষণা হল বুধবার।
আদালত সূত্রে খবর, যৌন নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটেছিল 2021 সালের 24 জুলাই। সেই সময় বিধাননগর থানা এলাকায় দূর সম্পর্কের এক মামাবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন 14 বছরের ওই কিশোরী। সেখানেই বাড়িতে আটকে রেখে দিনের পর দিন কিশোরীর সঙ্গে যৌন নির্যাতন চালানো হত বলে অভিযোগ । এমনকী কিশোরীর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টাও করে অভিযুক্ত ৷ প্রথম দিকে ভয়ে পরিবারের কাউকে সে কথা না-বললেও পরে কিশোরী সমস্ত ঘটনা খুলে বলে পরিবারের লোকজনকে । তারপরেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিধাননগর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর বাবা। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।
আরও পড়ুন:পণের দাবিতে হাত-পা বেঁধে ইলেকট্রিক শক দিয়ে নির্যাতন বধূকে, পরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন
এই বিষয়ে মামলার স্পেশাল সরকারি আইনজীবী গৌতম সরকার বলেন, "বাবা-মায়ের পর মেয়েদের নিরাপদ জায়গা হিসেবে আমরা সবসময় মনে করি আত্মীয়-স্বজনকে । অথচ এই ঘটনায় কিশোরীকে নির্যাতিত হতে হয়েছে তারই আত্মীয়ের হাতে। সমাজে এটা এক ধরনের ক্যানসার । এই রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে অভিযুক্তের কড়া শাস্তি দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায়ই নেই । যাতে সমাজকেও একটা বার্তা দেওয়া যায় । বিচারক সেটাই মনে করেছেন । তাই, দোষীকে 20 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন তিনি ।"