দত্তপুকুর, 13 অগাস্ট : অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বাড়ি থেকে হেঁটেই রওনা দিয়েছিলেন বারাসত হাসপাতালের উদ্দেশে ৷ কিন্তু, 500 মিটার হাঁটতে না হাঁটতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি ৷ ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় তাঁর৷ এরপর কোরোনা আতঙ্কে প্রায় এক ঘণ্টা রাস্তায় পড়ে থাকে দেহ ৷ মৃতের নাম বিমল সানি ৷ দত্তপুকুর থানার ছোটোজাগুলিয়ার বামনগাছির দিঘা এলাকার ঘটনা ।
অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে পথেই মৃত্যু রোগীর - কোরোনা আতঙ্ক
সম্প্রতি জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় তাঁর ৷ ছোটোজাগুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে কোরোনা পরীক্ষা করান৷ তারপর থেকে বাড়িতেই ছিলেন বিমল সানি ৷ আজ জ্বরের সঙ্গে প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়৷ হাসপাতালে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর ৷
উত্তর 24 পরগনার বামুনগাছির এক নম্বর সারদাপল্লি এলাকার বাসিন্দা বিমল সানি৷ দিনকয়েক আগে জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় তাঁর ৷ ছোটোজাগুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে কোরোনা পরীক্ষা করান৷ হাসপাতালে ভরতি করার জন্য আবেদন করেন বিমলবাবু৷ কিন্তু অভিযোগ, হাসপাতালে বেড নেই বলে জানিয়ে দেন আশাকর্মীরা ৷ তারপর থেকে বাড়িতেই ছিলেন বিমলবাবু ৷ আজ তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় ৷ জ্বরের সঙ্গে প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়৷ এই পরিস্থিতিতে অ্যাম্বুলেন্সস সময়ে না পেয়ে স্ত্রীর সঙ্গে হেঁটেই বারাসত হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি ৷ কিন্তু রাস্তাতেই মৃত্যু হয় বিমলবাবুর ৷
কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে, এই আশঙ্কায় রাস্তায় পড়ে থাকে তাঁর দেহ ৷ আজ সকাল পর্যন্ত কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না আসায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিমলবাবুর স্ত্রী ৷