বসিরহাট, 20 মে: এখন শুধুই আতঙ্কের প্রহর গোনা । কখন আসবে সেই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ? প্রশাসনিক ব্যবস্থা এক প্রকার শেষ । 80 হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গেছে উত্তর 24 পরগনা জেলা প্রশাসন । তবু জেলাবাসীর কাছে আতঙ্ক সেই আয়লা ও বুলবুলের ক্ষত ।
আতঙ্কের প্রহর গুনছেন সুন্দরবনের বাসিন্দারা
কিছুক্ষণ বাদেই রাজ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় । আতঙ্কিত সুন্দরবনের বাসিন্দারা । আয়লা ও বুলবুলের থেকেও এই ঝড় বেশি ক্ষতি করতে পারে বলে আশঙ্কা ।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর দেখে হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ ও সন্দেশখালির বাসিন্দাদের আতঙ্ক বাড়ছে । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আয়লাকে ছাপিয়ে যাওয়া ক্ষয়ক্ষতির ক্ষমতা রয়েছে এই ঝড়ের । ইতিমধ্যেই গার্ডওয়াল টপকে জল ঢুকতে শুরু করেছে দিঘায় । শুরু হয়েছে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি । অন্যদিকে সাগরদ্বীপ-মৌসুনি দ্বীপে প্রবল হাওয়া বইছে । গতিবেগ প্রায় 80-90 কিলোমিটার । বহু কাঁচাবাড়ির চাল উড়ে গেছে । প্রশাসনের তরফে সতর্কবার্তা জারি রাখা হয়েছে ।
বসিরহাট মহকুমায় সব ফেরিঘাট আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নদী থেকে নৌকা পাড়ে তুলে নিয়েছেন মাঝিরা । এখন শুধুই অপেক্ষা । কখন তাণ্ডব করতে আসবে আমফান ? হিঙ্গলগঞ্জের বাসিন্দা প্রভাত দাস বলেন, "আয়লার তাণ্ডব আমরা দেখেছি । তাই আমরা আমফান নিয়ে ভীষণ আতঙ্কিত । তখন আবার নদীতে জোয়ার থাকবে । তাই ভীষণ ভয় করছে ।" প্রায় একই রকম বক্তব্য রাজু রাউতেরও । তিনিও বলছেন, "চরম আতঙ্কে রয়েছেন সুন্দরবনের মানুষ ।"