সন্দেশখালি, 16 জুন :বর্ষা আসলেই আতঙ্কে ভোগেন সুন্দরবন এলাকার বাসিন্দারা ৷ বিশেষত হিঙ্গলগঞ্জ ও সন্দেশখালির এলাকাবাসী ৷ নদীপাড়ের বাসিন্দাদের ভরসা বলতে বাঁধ ৷ আর তা যদি দুর্বল হয়, আশঙ্কা তো থাকবেই ! ইতিমধ্যেই দুর্বল বাঁধ চিহ্নিত করে মেরামতির কাজ শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন (people Are in Sandeshkhali facing in trouble for Weak Dam) ৷
ইয়াস ও তার পরবর্তী সময়ে একের পর এক কোটালের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই অঞ্চলের নদী বাঁধ। ভাঙনের আশঙ্কায় ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়েছিল নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি 1 ও 2, মিনাখাঁ ব্লক, রায়মঙ্গল, বিদ্যাধরী, কালিন্দী, ইছামতী এলাকা ৷ ইয়াস পরবর্তীতে ভাঙন কবলিত এলাকার নদীবাঁধ মেরামত হয়েছে ঠিকই । কিন্তু তা অস্থায়ীভাবে।
মাটি, বালির বস্তা, পলিথিনের শিট দিয়ে কোনও রকমে জোড়াতালি দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত করা হয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন এবং পঞ্চায়েতের তরফে । কিন্তু, বছর ঘুরতে চললেও কংক্রিটের বাঁধ করার দাবি আজও পূরণ হয়নি সুন্দরবন ঘেঁষা নদী পাড়ের বাসিন্দাদের। বারবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর । হাওয়া অফিসের তরফে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে দু-একদিনের মধ্যে বর্ষা প্রবেশ করার সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে। আর তাতেই ঘুম উড়ছে হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালির দুটি ব্লকের নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের।
দুর্বল নদী বাঁধ, আতঙ্কে এলাকাবাসী আরও পড়ুন : সারানো হয়নি নদী বাঁধ, আসন্ন ভরা কোটালে বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে প্রহর গুনছেন এলাকাবাসী
এদিকে, বর্ষার আগেই দুর্বল নদী বাঁধ এবং সুইস গেটগুলোর অবস্থা খতিয়ে দেখে তা মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন এবং পঞ্চায়েতে তরফে । বেশকিছু দুর্বল নদী বাঁধ চিহ্নিত করে তা অস্থায়ীভাবে মেরামত করা হয়েছে । তেমনই সেচ দফতরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নদী বাঁধ মেরামতে আরও গতি আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অর্চনা মৃধা ।