বারাসত, 21 সেপ্টেম্বর : কোরোনা পরিস্থিতিতে রোগী ভর্তি করাতে এসে এবার হয়রানির শিকার হলেন খোদ শাসকদলের বিধায়ক । প্রায় আড়াই ঘণ্টা টালবাহানার পরও রোগী ভরতি করাতে ব্যর্থ হন আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকার রহমান । ঘটনায় ক্ষুদ্ধ তৃণমূল বিধায়ক ওই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন । বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি । বিষয়টি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নজরেও অনা হবে বলে বলেন তিনি ।যদিও রোগী ভরতি নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ মানতে চায়নি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।
জানা গিয়েছে, উত্তর 24 পরগনার আমডাঙার বাসিন্দা নাজমা খাতুন বিবি । বয়স প্রায় 70-এর কাছাকাছি । সম্পর্কে বিধায়ক রফিকার রহমানের পিসি হন ওই বৃদ্ধা । বেশকিছু দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন তিনি । আজ সকালে শরীর আরও খারাপ হওয়ায় পিসিকে সঙ্গে নিয়ে বারাসত রথতলার কাছে ওই বেসরকারি হাসপাতালে আসেন তৃণমূল বিধায়ক । সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন আত্মীয় । অভিযোগ, এরপরই রোগী ভরতি করাতে গিয়ে শুরু হয় হয়রানি । চলে টালবাহানাও । অভিযোগ, সরকারি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখার পরই রোগী ভরতি করাতে বেঁকে বসেন ওই বেসরকারি হাসপাতাল । সকাল এগারোটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘণ্টা রোগী ভরতির নামে হয়রানি চলে বলে অভিযোগ উঠেছে । তবে, এতকিছুর পরও বেসরকারি ওই হাসপাতালে রোগী ভরতি করাতে ব্যর্থ হন তৃণমূল বিধায়ক রফিকার রহমান ।শেষে মারুতি গাড়িতে করেই ওই বৃদ্ধাকে নিয়ে অন্য হাসপাতালে ভরতির উদ্দেশে রওনা হন তিনি । তিনি বলেন,"স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা নিয়ে হয়রানি আগে শুনেছি। তবে,এবার প্রত্যক্ষ করলাম নিজের পরিবারের ক্ষেত্রে । স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কার্ডে চিকিৎসা হলে সরকারের সুনাম বাড়বে । এটা একশ্রেণির বেসরকারি হাসপাতাল চায়না । তাঁরা সরকারের বদনাম করতে চক্রান্ত করছে ।" বিধায়কের আরও অভিযোগ, "পিসিকে ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসার পর থেকেই শুরু হয় টালবাহানা । প্রথমে বলে কোরোনা পরীক্ষা করাতে হবে । এরপর আমি যখন কোরোনা পরীক্ষার করার কথা বলি, তখন স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কার্ড দেখেই বেঁকে বসে রোগীকে ভরতি করাতে । একবার বলছে ভরতি নিচ্ছি ।এরপর কাগজপত্র তৈরি হওয়ার পর আবারও বলছে যেহেতু কোরোনা পরীক্ষা হয়নি সেহেতু আপনার রোগী ভরতি নেওয়া যাবে না ।"