পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

সংকট মেটাতে উদ্যোগ,  ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত দিলেন বারাসতের 15 যুবক - রক্ত দিলেন বারাসতের ১৫ যুবক

লকডাউন পরিস্থিতিতে রক্তের সংকট যখন ক্রমশ বাড়ছে তখন বারাসত জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে এসে রক্তদান করলেন কয়েকজন যুবক ।

15 young man donate blood
রক্তসংকট

By

Published : Apr 2, 2020, 6:30 PM IST

বারাসত, 2 এপ্রিল: লকডাউন পরিস্থিতিতে রক্তের সংকট মেটাতে এবার এগিয়ে এলেন বারাসতের 15 জন যুবক । হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে রক্ত দিয়ে এলেন তাঁরা ।

আজ সকালে হঠাৎই বারাসত জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে এসে হাজির হন ওই যুবকরা । আবদার করেন, রক্ত দেবেন। প্রাথমিকভাবে প্রস্তুত না থাকলেও পরে এগিয়ে আসেন ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীরা। তাঁদের সহযোগিতায় রক্ত দেন ওই 15 জন যুবক।

দেশে কোরোনা আতঙ্কের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মোকাবিলায় দেশজুড়ে জারি হয়েছে লকডাউন। তার জেরে রক্তদান শিবিরগুলিও বন্ধ। এমনিতেই গ্রীষ্মকালে রক্তের সংকট দেখা দেয়, তার উপর লকডাউন। সব মিলিয়ে রাজ্যে রক্ত সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্ক ও সরকারি হাসপাতালগুলিতে রক্তের সংকট দেখা দিতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে রক্তের ঘাটতি মেটাতে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে প্রতিদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রক্তদান শিবির শুরু করেছে কলকাতা পুলিশও। এবার এগিয়ে এলেন বারাসতের 15 জন যুবকও। বৃহস্পতিবার তাঁরা রক্ত দেওয়ার জন্য হাজির হন বারাসত জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও নিরাশ করেননি তাঁদের । ব্লাড ব্যাঙ্কেই রক্ত দেওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়। রক্ত দেন সৈকত দাস, সৌরভ সাহা, দীপ্ত সরকার, অরূপ রায়, মারুফ রহমান, প্রশান্ত ভট্টাচার্য, সুরজিৎ মণ্ডল, সঞ্জীব দাস, চন্দন বিশ্বাস, অনীক দত্ত সহ অন্যরা ।

সঞ্জীব দাস নামে এক রক্তদাতা বলেন, "কোরোনার জেরে রক্তদান শিবির বন্ধ থাকায় রাজ্যের প্রায় প্রতিটি ব্লাড ব্যাঙ্কেই রক্তের সংকট দেখা দিয়েছে। রক্ত না পেয়ে মুমূর্ষু রোগীদের জীবন সংশয় দেখা দিচ্ছে। এই অবস্থায় আমরা চুপচাপ বসে থাকতে পারি না। একজন ছাত্র ও দেশের নাগরিক হিসেবে এগিয়ে এসেছি রক্ত দিতে।"

বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রক্তের আকাল মেটাতে ইতিমধ্যে উদ্যোগী হয়েছেন। এই অবস্থায় এই যুবকদের রক্তদান প্রশংসনীয়। এর প্রভাব সমাজে নিশ্চয় পড়বে বলে বিশ্বাস করি"।

ABOUT THE AUTHOR

...view details