বারাসত, 28 জুন : সংক্রমণ রুখতে কনটেনমেন্ট জোনে টিকাকরণে বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে । চলছে নজরদারিও । সোমবার বারাসত সৃজন পার্কের কনটেনমেন্ট জোনের ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখার পর এই মন্তব্য করেন উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা ।
তিনি বলেন, "এই মুহূর্তে জেলায় সংক্রমণের হার অনেকটায় কম । তা সত্ত্বেও কিছু কিছু জায়গায় সংক্রমণে লাগাম টানতে কনটেনমেন্ট, মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে যাতে সংক্রমণ অন্য কোথাও ছড়িয়ে পড়তে না পারে ৷" ইতিমধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে সুপার স্প্রেডারদের চিহ্নিত করে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জেলাশাসক ।
আরও পড়ুন :ওভারলোডিং গাড়ি রাস্তায় নামানোর অভিযোগে ট্রাক মালিকদের বিক্ষোভ
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত গোটা দেশ । এর আঁচ এসে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও । সংক্রমণে লাগাম টানতে ইতিমধ্যে রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ জারি হয়েছে । যার ফলও মিলেছে হাতেনাতে । এই মুহূর্তে রাজ্যে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী । শীর্ষে থাকা উত্তর 24 পরগনা জেলার সংক্রমণেও লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে । তা সত্ত্বেও বিভিন্ন বাজার ও দোকানপাটে আমজনতার ভিড় চিন্তায় রেখেছে প্রশাসনকে ।
এর জেরে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে । কিছু কিছু জায়গায় নতুন করে সংক্রমণও সামনে এসেছে । তাই কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে জেলার বাজার এবং দোকানপাটে খোলার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে । একদিন বাজার খোলা থাকলে অন্যদিন দোকানপাট বন্ধ থাকবে । আবার যেদিন দোকানপাট খোলা থাকবে, অন্যদিন বন্ধ থাকবে বাজার । এই ফর্মুলাই এখন হাতে নিয়েছে জেলা প্রশাসন ।
আরও পড়ুন :গাইঘাটায় সংক্রমণ রুখতে এক সপ্তাহের জন্য নয়া বিধিনিষেধ জেলা প্রশাসনের
উদ্দেশ্য, সুপার স্প্রেডার থেকে সংক্রমণ কমানো । জেলার যেসব জায়গায় নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, সেসব জায়গায় ইতিমধ্যে কনটেনমেন্ট, মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে । জেলায় তার সংখ্যা 83 । এর মধ্যে জেলা সদর বারাসতে রয়েছে 10 টি । এদিন বারাসতে এরকমই একটি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা । সঙ্গে ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর, বারাসত এসডিপিও সত্যব্রত চক্রবর্তী-সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা ।
জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, "কনটেনমেন্ট জোনের সংক্রমিত রোগী ও তাঁর পরিবারের যাতে কোনও অসুবিধে না হয়, সেদিকে সর্বদা নজর রাখছেন পুরসভার আশা কর্মীরা । তাঁদের খাদ্য সামগ্রী থেকে ওষুধপত্র সবকিছুই পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে প্রশাসনের তরফে । শুধু তাঁদের জেলা প্রশাসনের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলেই হবে । আমরা চাইছি দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ একেবারে কমিয়ে আনা যায় ৷" তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় প্রশাসন সমস্ত রকমভাবে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন জেলাশাসক ।
আরও পড়ুন :Kasba Vaccine Controversy : বেসরকারি অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ খাদ্যমন্ত্রীর