বারাসত, 5 ডিসেম্বর : "কোনও নেতাই আমাদের খেতে দেবে না। কর্ম-ই করতে হবে আমাদের। তারপর খাওয়া জুটবে"। বারাসতে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়-র গৃহ সম্পর্ক অভিযানে এসে বাড়ি ও দোকানে গিয়ে ভোট চাওয়াকে এভাবেই বিদ্রুপ করলেন বয়স্ক এক দোকানদার। আজ বারাসতের সত্যনারায়ণ পল্লিতে গৃহসম্পর্ক অভিযানে আসেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও এই রাজ্যে দলের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। প্রথমে স্থানীয় একটি মন্দিরে দর্শন ও পুজো দেন তিনি। এরপর এলাকার বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়িতে "আর নয় অন্যায়" প্রচারের লিফলেট বিলি করেন BJP-র এই কেন্দ্রীয় নেতা।
সেই লিফলেট বিলি করা হয় 70 ছুঁইছুঁই এলাকার প্রবীণ শংকর দে-কেও। সত্যনারায়ণ পল্লির রাস্তার ধারে তাঁর একটি সাইকেল মেরামতের দোকান রয়েছে। কৈলাস বিজয়বর্গীয় যখন ওই প্রবীণের দোকানে লিফলেট বিলি করতে যান, তখন তিনি ব্যস্ত ছিলেন ব্যবসার কাজে। তখনই তাঁকে লিফলেট দেওয়ার জন্য বের করা হয় বাইরে। অভিযোগ উঠেছে ওই প্রবীণকে জোর করে বাইরে বের করেন গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। এই নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শংকর বাবু ।
"কোনও নেতা খেতে দেবে না", কৈলাসকে বললেন প্রবীণ দোকানদার
গৃহ সম্পর্ক অভিযানে আজ বারাসতে আসেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় ৷ সেখানে প্রায় 70 বছরের এক বৃদ্ধ দোকানদারকে বিজেপির প্রচার লিফলেট বিলি করতে যান কৈলাস ৷ ওই ব্যক্তির বারাসতের সত্যনারায়ণ পল্লিতে সাইকেল মেরামতের দোকান আছে ৷ তিনি সেসময় কাজে ব্যস্ত ছিলেন ৷ তাই লিফলেট নিতে দোকানের বাইরে আসতে দেরি করেন ৷ অভিযোগ বিজেপি কর্মীরা তাঁকে জোর করে বাইরে বের করে আনেন ৷ এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বৃদ্ধ ৷
আরও পড়ুন : বারাবনিতে মিছিলে হামলা, গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী
পরে,সাংবাদিকদের সামনে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে প্রবীণ ওই ব্যক্তি বলেন, "উনি(কৈলাস বিজয়বর্গীয়) ভোট চাইতে এসেছিলেন। সেই সময় কাজ করছিলাম আমি। জোর করেই দোকান থেকে বের করা হয় আমাকে"। এরপরই বিদ্রুপের সুরে তিনি বলেন,"কোনও নেতা-ই আমাদের খেতে দেবে না। কর্ম-ই করতে হবে আমাদের। তারপর খাওয়া জুটবে। নেতারা ভোট নিয়ে পগারপার হয়ে যাবে। ভোটে জিতে কোটি কোটি টাকা লুট করবে। আমাদের অবস্থা থাকবে সেই তিমিরেই"। যদিও প্রবীণ ওই ব্যক্তির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি । এই বিষয়ে বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "জোর করে কাউকেই দোকান থেকে বের করা হয়নি। দলীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে ঘিরে মানুষের মধ্যে উন্মাদনা ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। অনেকে দোকান থেকে বেরিয়ে নিজেরাই লিফলেট নিয়েছে তাঁর কাছ থেকে। আশীর্বাদও করেছেন প্রবীণ মানুষেরা। "