দত্তপুকুর, 7 মে: বাড়িতে টিউবওয়েল থাকলেও ঠিকমতো জল ওঠে না । রাস্তার হ্যান্ড কল থেকে জল নেবেন, তারও উপায় নেই । কারণ, অনেক সময়েই তা খারাপ হয়ে পড়ে থাকে । ফলে পানীয় জলের সংকট চরমে পৌঁছেছিল 5 থেকে 6টি গ্রামের বাসিন্দাদের । অবশেষে সেই পানীয় জলের সংকট কাটতে চলেছে গ্রামের কয়েক হাজার পরিবারের । সমস্যার সুরাহায় এগিয়ে এসেছে রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর । প্রায় 16 কোটি টাকা ব্যয়ে ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের মালিকাপুরে হতে চলেছে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট । রবিবার যার কাজের শুভ সূচনা হল খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের হাত ধরে । প্রকল্প রূপায়ণ হলে অন্ততপক্ষে 36 হাজার গ্রামবাসী উপকৃত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী । তাঁর সেই আশ্বাসের দিকেই এখন তাকিয়ে গ্রামবাসীরা ।
উত্তর 24 পরগনার দত্তপুকুরের ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকা । যেটি আবার খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বিধানসভা ক্ষেত্রের মধ্যেও পড়ে । খাদ্যমন্ত্রীর বিধানসভা এলাকা হওয়া সত্ত্বেও এই পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মালিকাপুর, রুদ্রপুর, কাপাসিয়া, আহিরা-সহ প্রায় ছ'টি গ্রামের বাসিন্দাদের তীব্র জল সংকট ভুগতে হচ্ছিল বেশ কয়েক বছর ধরে । অভিযোগ, কল থাকলেও ঠিকমতো জল পাচ্ছিলেন প্রায় 36 হাজার গ্রামবাসী । এ নিয়ে বহুবার স্থানীয় পঞ্চায়েত বলেও কোনও সুরাহা হয়নি । ফলে পানীয় জলের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছিল সেখানে ।
গরমের সময় তো আর কথাই নেই ! তখন পানীয় জল পেতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যায় গ্রামবাসীদের । রীতিমতো হেঁটে পাশের পাড়াতে গিয়ে জল বয়ে আনতে হয় তাঁদের । তাও হ্যান্ড কল ঠিক থাকা অবধি ৷ খারাপ হলে আবার চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকতে হয় পঞ্চায়েতের দিকে । কখন সেই হ্যান্ড কল ঠিক হবে । গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে টিউবওয়েল রয়েছে ঠিকই । কিন্তু গরমের সময় সেই টিউবওয়েলের জলের স্তর নীচে নেমে যায় । তখন ঠিকমতো জল ওঠে না । সেই সময় কষ্ট করে জলের নিবারণ করতে হয় গ্রামের কয়েক হাজার পরিবারকে । গত কয়েক বছর ধরে এটাই যেন রোজনামচা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের । পানীয় জলের সংকট মেটাতে দীর্ঘদিন ধরেই উন্নত মানের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের দাবি করে আসছিলেন গ্রামবাসীরা । দেরি হলেও শেষে তাঁদের সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে । যার জেরে উচ্ছ্বসিত স্থানীয় বাসিন্দারা ।