বনগাঁ, 27 অগাস্ট : আগের অনাস্থা বাতিল হয়ে গিয়েছে । আনতে হবে নতুন অনাস্থা ৷ ফের হবে ভোটাভুটি ৷ আগামী 12 দিনের মধ্যে পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধে ফের অনাস্থা ভোটের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর এই নির্দেশের পরই নতুন করে ঘর গোছাতে শুরু করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। অন্য দিকে, BJP-র দাবি, ''আদালতের রায়ে আমাদের নৈতিক জয় হয়েছে ৷ ''
লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে বনগাঁ পৌরসভায় দল বদলের সম্ভাবনা তৈরি হয়। 22 আসনের বনগাঁ পৌরসভায় নির্দলকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন 20 জন । বাম ও কংগ্রেসের একজন করে বিধায়ক ছিলেন। গত জুন মাসে 12 জন কাউন্সিলর তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগ দেন। তাঁরা পৌরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। ১৬ জুলাই অনাস্থার আগেই এক কাউন্সিলর আবার তৃণমূলে ফিরে যান। অনাস্থা ভোটের দিন তৃণমূল-BJP দু'পক্ষই নিজেদের জয়ী বলে ঘোষণা করে। মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। ইতিমধ্যে দলত্যাগী কাউন্সিলরদের মধ্যে চার জন আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন। তারই মধ্যে সোমবার বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় রায় দিয়েছেন, 12 দিনের মধ্যে পুরপ্রধান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসকের দপ্তরে করতে হবে অনাস্থা ভোট।
হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরে দু'রকম ছবি দেখা গেল। সংখ্যার বিচারে তৃণমূল বেশ স্বস্তির জায়গাতেই রয়েছে। তারা নিজেদের মতো করে ঘর ঘোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে । আপাতত তাদের আসন সংখ্যা ১৩। ম্যাজিক সংখ্যার থেকে এক বেশি। উল্টো ছবি গেরুয়া শিবিরে। BJP নেতৃত্ব এই রায়কে সত্যের জয় হয়েছে বলে জানালেও তাঁদের মত, আদালতের রায় বেরোতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। দেরি হওয়াতেই তাদের চার কাউন্সিলরকে শাসক দল ঘর ওয়াপসি করাতে পেরেছে। বিজেপির আসন সংখ্যা আপাতত 7।
কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে তৃণমূল থেকে BJP-তে যাওয়া কাউন্সিলর দীপ্তেন্দুবিকাশ বৈরাগী বলেন, 'আমরা বরাবর বলেছিলাম সত্যের জয় হবে। এদিনের রায়ে সেটাই প্রমাণ হয়েছে। কিন্তু রায় দেরিতে হওয়ার সুযোগে তৃণমূল চাপ সৃস্টি করে চার জন কাউন্সিলরকে ঘর ওয়াপসি করিয়ে নিয়েছে।'