বারাসত, 21ফেব্রুয়ারি : পথ দুর্ঘটনায় তৃণমূল কাউন্সিলর ও তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে । ষড়যন্ত্র করেই তাঁদের খুন করা হয়েছে । এমনই অভিযোগ তুলে এবার পুলিশের দ্বারস্থ হলেন মৃতের পরিবার । শুক্রবার বিকালে হুগলির চণ্ডীতলা থানায় এই মর্মে অভিযোগও দায়ের করেন মৃত কাউন্সিলর প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্যের স্ত্রী মৌমিতা ভট্টাচার্য । সেই সঙ্গে ঘটনার তদন্ত করে সত্য উদঘাটনের দাবিও করেছেন তিনি । এদিন মৌমিতা দেবীর সঙ্গে চণ্ডীতলা থানায় এসেছিলেন বারাসত পৌরসভার উপ-পৌর প্রধান অশনি মুখোপাধ্যায়ও ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত কাউন্সিলরের স্ত্রী মৌমিতা ভট্টাচার্য অভিযোগপত্র জমা দেন ৷ তাতে তিনি জানিয়েছেন, 16 ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে তাঁর স্বামী প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্য ও দেওর প্রণব বারাসত পৌরসভার একটি বোলেরো গাড়ি নিয়ে বাঁকুড়ার দিহা গ্রামের পৈতৃক বাড়িতে গিয়েছিলেন । সঙ্গে ছিলেন তাঁদের গাড়ির চালক দেবকুমার দে-ও । এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তাঁরা বাঁকুড়া থেকে আরামবাগ হয়ে বারাসতের দিকে ফিরছিলেন । রাত আটটা নাগাদ পুলিশের মাধ্যমে তিনি খবর পান, হুগলির শিয়াখালা রোডের দেশমুখায় তাঁর কাউন্সিলর স্বামীর গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে । মৌমিতা দেবী এও জানতে পারেন, শিয়াখালা রোডের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাক্টরকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে সেই গাড়িটি । দুর্ঘটনায় চালকের পাশে বসে থাকা তাঁর স্বামী প্রদ্যুতের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই । গাড়ির মাঝের সিটে বসা থাকা তাঁর দেওর প্রণবের মৃত্যু হয় হাসপাতালে । দুর্ঘটনায় স্বামী ও দেওরের মৃত্যু হলেও গাড়ির চালক দেবকুমার অক্ষতই ছিলেন । তাঁকে চিকিৎসার জন্য কলকাতার PG হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও কিছুক্ষণ বাদেই সুস্থ অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এতেই অবাক মৃত তৃণমূল কাউন্সিলরের পরিবার ।
অভিযোগপত্রের একেবারে শেষে মৌমিতা দেবী জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী ও দেওরের মৃত্যুর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে । উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে । তাই, এই দুর্ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন কাউন্সিলরের স্ত্রী । যাতে সত্য ঘটনা সামনে আসে ।