পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

পৌরসভার কাউন্সিলর কোরোনায় আক্রান্ত, 10 নম্বর ওয়ার্ড সিল করল পুলিশ - police sealed ward number 10

মধ্যমগ্রাম পৌরসভার 10 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কোরোনা আক্রান্ত হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসল নবান্ন।গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকাতে নবান্নর নির্দেশে 10 নম্বর ওয়ার্ডকে পুরোপুরি সিল করে দিল জেলা পুলিশ । শুক্রবার রাত থেকেই এই ওয়ার্ডকে মধ্যমগ্রামের অন্যান্য এলাকা থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

madhyamgram
10 নম্বর ওয়ার্ড সিল

By

Published : Apr 11, 2020, 9:45 PM IST

Updated : Apr 11, 2020, 10:04 PM IST

মধ্যমগ্রাম, 11 এপ্রিল :মধ্যমগ্রাম পৌরসভার 10 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কোরোনা আক্রান্ত হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসল নবান্ন।গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকাতে নবান্নর নির্দেশে 10 নম্বর ওয়ার্ডকে পুরোপুরি সিল করে দিল জেলা পুলিশ । শুক্রবার রাত থেকেই এই ওয়ার্ডকে মধ্যমগ্রামের অন্যান্য এলাকা থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।সিল করে দেওয়ায় ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে বহিরাগতদেরও ওয়ার্ডের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে জেলা পুলিশের তরফে।এজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে মধ্যমগ্রাম পৌরসভায় কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে।পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ফোন করলেই বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।পাশাপাশি ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ওয়ার্ড সংলগ্ন মধ্যমগ্রাম- সোদপুর রোডের ধারে সবজি ও মাছের বাজারকেও অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।10 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।তাঁর সংস্পর্শে অনেকেই এসেছেন।সংক্রমণ ঠেকানোর জন্যই হটস্পট হিসেবে মধ্যমগ্রাম পৌরসভার 10 নম্বর ওয়ার্ডকে আইসোলেশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।স্থানীয়দের দাবি,"দেরিতে হলেও প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত আখেরে ভালোই হবে ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের"।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,পূর্ব ও দক্ষিণ বঙ্কিমপল্লি,রামমোহন এস্টেট,বোস বাগান,পূর্বালয়,পূর্বাশা ও বিজয়নগর নিয়ে গঠিত মধ্যমগ্রাম পৌরসভার 10 নম্বর ওয়ার্ড।প্রায় হাজার দশেক মানুষের বসবাস।সোদপুর রোড ও যশোর রোডের দিক মিলিয়ে 15 টি এন্ট্রি পয়েন্ট দিয়ে 10 নম্বর ওয়ার্ডে প্রবেশ করা যায়।নবান্নর নির্দেশে শুক্রবার রাতেই এই এন্ট্রি পয়েন্ট গুলো পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে।এছাড়া মাইকিং করে এলাকায় প্রচার চালিয়ে ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ঘরবন্দী থাকার আবেদন করা হচ্ছে ।

সেই সঙ্গে বহিরাগতদের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে ওয়ার্ডের ভিতরে।ফলে শুক্রবার রাত থেকেই কার্যত অন্যান্য জায়গা থেকে বিচ্ছিন্ন 10 নম্বর ওয়ার্ড।নির্দেশ মানা হচ্ছে কিনা,তা দেখতে প্রতিনিয়ত ওয়ার্ডে টহলও দিচ্ছে পুলিশ।শনিবার দুপুরে পুলিশকর্মীদের সাথে নিয়ে ওই ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় টহল দিয়েছিলেন জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়।এদিনও এলাকায় প্রচারের গাড়ি ঘুরতে দেখা গেছে।মোবাইল রিচার্জ থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও ওষুধ ঘরে বসে কিভাবে পাওয়া যাবে,কন্ট্রোল রুমে গিয়ে তার তদারকি করেছেন পুলিশ সুপার।

ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য পুলিশের তরফে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?সেই প্রশ্নের উত্তরে বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় বলেন,"এন্ট্রি পয়েন্টগুলো সিল করে দেওয়ার পাশাপাশি এলাকায় টহল দেওয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। কেউ বাইরে যেতে ও ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হয়েছে।ওয়ার্ডের ভিতরে থাকা সব ধরনের দোকান বন্ধ করা হয়েছে"।

তিনি আরও বলেন,"10 নম্বর ওয়ার্ডের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে একটা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।কন্ট্রোল রুমে ফোন করলেই পুলিশ তাঁদের বাড়ি গিয়ে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে"।তবে,এই কাজে পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় পৌরসভা ও খাবার সরবরাহকারী সংস্থার কর্মীদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

মধ্যমগ্রাম পৌরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের পৌর পারিষদ নিমাই ঘোষ বলেন,"রবিবার থেকে 10 নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।তাঁদের জ্বর,সর্দি,কাশি আছে কি না তা জানা হবে।এই কাজে পৌরসভার স্বাস্থ্য দপ্তর,জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী ও আধিকারিকরা থাকবেন"।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,মধ্যমগ্রাম পৌরসভার 10 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা মূলত মধ্যমগ্রাম- সোদপুর রোডের ধারে দুটি বাজারে বাজার করে থাকেন।যার কিছুটা আবার 11 নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যেও পড়ে।সবজি বাজারকে সরানো হয়েছে চৌমাথা সংলগ্ন সুভাষ ময়দানে ৷ মাছের বাজারকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যশোর রোডের ধারে গোরুর হাটে।

Last Updated : Apr 11, 2020, 10:04 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details